‘ধর্মের আল্লাহ যদি কমলাপুর বস্তির অভুক্ত শিশুদের জন্য আসমান থেকে কয়েকটি পাওরুটি এনে দিতে পারতেন কতই না ভাল হত।’ গতকাল এমনই একটি মন্তব্য করেছেন @Shamin Bin Saleh। লোকটাকে যে জবাব দিয়েছিলাম সেটা এখানে তুলে দিলাম-
‘‘কয়েকটি পাওরুটি দিয়ে ঐ শিশুদের ভাগ্য পরিবর্তন হবে না। বড়জোড় করুণা দেখানো যাবে, যেটা মানুষ প্রায়ই করে থাকে। তাতে ঐ শিশুদের আসলেই কোনো উপকার হয় কিনা তা আমরা সবাই জানি। অথচ করুণা পাওয়া নয়, মানুষের মত খেয়ে-পরে বেঁচে থাকাটা ঐ শিশুদের জন্মগত অধিকার, যা আমরা মানুষরাই হরণ করে নিয়েছি। তাদের মুখের খাবার, তাদের বসবাসের ঘর, আমরাই কেড়ে নিয়েছি।
আল্লাহ চান ঐ অভুক্ত শিশুরা সমাজের আর দশজন স্বচ্ছল মানুষের মত সমমর্যাদা ও সম-অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকুক। যদি কয়েকটি পাওরুটি পাঠিয়েই তাদের চোখের অশ্রু দূর করা যেত তবে কোনো কথা ছিল না। কিন্তু না, পাওরুটি দিয়ে এ সমস্যার সমাধান হবে না বলেই আল্লাহ পাঠিয়েছেন দ্বীন (জীবনব্যবস্থা)। সেই দ্বীন প্রয়োগ করলে অর্থনৈতিক অবিচার দূর হবে, শোষণ দূর হবে, কোথাও সম্পদের হাহাকার আর কোথাও অঢেল সম্পদের প্রাচুর্য তৈরি হবে না, ধনী-দরিদ্রের মর্যাদার ভেদাভেদ দূর হবে, কাউকে না খেয়ে থাকতে হবে না, মানুষ ভোগবাদী না হয়ে ত্যাগী হবে। প্রকৃত ইসলামের ইতিহাস দেখুন- মানুষ উটের পিঠে খাবার বোঝাই করে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরত কিন্তু গ্রহণ করার মত লোক পেত না।
সমস্ত দুনিয়ার মানুষের ক্রন্দন দূর করার জন্য আল্লাহ ‘দ্বীন’ পাঠালেন, আর আপনি ভিক্ষা করছেন কিনা ‘পাওরুটি’। এত প্রায়ান্ধ হলে চলে না। দৃষ্টি বড় করুন।’
No comments:
Post a Comment