Tuesday, September 13, 2016

হজ্বে পাপমুক্তি কীভাবে হবে?


পাপমুক্তি ও আত্মশুদ্ধির আকুল বাসনা নিয়ে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ পবিত্র মক্কায় হজ্ব করতে যান। এ বছরও সারা পৃথিবী থেকে লাখ লাখ মানুষ হজ্বে গেছেন। কিন্তু সেই পাপমুক্তি ও আত্মশুদ্ধি কীভাবে অর্জিত হবে তা কি আমরা ভেবে দেখেছি কখনও? সাধারণত হজ্বে যাবার পূর্বে সবাইকে যত্ন করে হাজ্বীক্যাম্পে বসিয়ে নিয়ম-কানুন, দোয়া-দরুদ শেখানো হয়। কিন্তু যে পাপমুক্তির জন্য এত কিছু, ঠিক কোন কারণে বা কী পদ্ধতিতে পাপমুক্তি হয় তার গঠনমূলক আলোচনা কোথাও হয় না। ফলে মানষ মনে করে যেন হজ্বের মৌসুমে মক্কার পবিত্র ভূমিতে পা রাখাই নিষ্পাপ হবার জন্য যথেষ্ট। আসলে তা নয়। ইসলামের অন্যান্য বিধানের মত হজ্বও প্রাকৃতিক নিয়মের উপর প্রতিষ্ঠিত। ভূমি স্পর্ষ করে কেউ পাপমুক্ত হয় না। হজ্ব কীভাবে আমাদের পাপমুক্ত করে তা জানতে হলে কয়েকটি বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। যেমন-
.
প্রথমত, হজ্বের উদ্দেশ্য সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা বা আকীদা সঠিক থাকতে হবে। এটা ইসলামের একেবারে মৌলিক একটি কথা যে, আকীদা ছাড়া ঈমানের কোনো দাম নেই। সুতরাং শুধু হজ্ব করাই যথেষ্ট নয়, হজ্ব কেন, আল্লাহ কেন হজ্বের বিধান দিয়েছেন সেটাও জানতে হবে। জানতে হবে হজ্বের মাধ্যমে জাতিকে কী শিক্ষা দেওয়া হয়। হজ্ব যদি নিছক আত্মশুদ্ধি’র মাধ্যম হত, আধ্যাত্মিক বিষয় হত, তাহলে সেটা যার যার দেশেই পালন করা যেত। হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে যেতে হবে কেন?
.
আসলে হজ্ব কেবল আধ্যাত্মিক বিষয় নয়, নিছক আনুষ্ঠানিকতাও নয়। হজ্বের মাধ্যমে আল্লাহ এ জাতিকে নানামুখি শিক্ষা দিয়ে থাকেন। কিন্তু উদ্দেশ্য হারিয়ে ফেলার দরুন সেসব শিক্ষা আমরা অনুধাবন করতে পারি না। হাজ্বীকে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জেনে হজ্বে যেতে হবে। যেমন- হজ্বে কেন যাবেন? হজ্ব কাদের জন্য? আরাফাতের ময়দানে জমায়েত হবার কারণ কী? হাজ্বীদের উদ্দেশ্যে ইমামের খোৎবার উদ্দেশ্য কী এবং অর্থ কী? সেলাইবিহীন দুই প্রস্থ সাদা কাপড় পরার কারণ কী? আল্লাহুম্মা লাব্বাইক বলে ক্বাবা তাওয়াফ করার অর্থ কী? সাফা-মারওয়া দৌড়াদৌড়ি করবেন কেন? শয়তানকে পাথর মারার অর্থ কী? কালো পাথরে চুমু খাওয়ার উদ্দেশ্য কী? পশু জবাইয়ের উদ্দেশ্য কী? সামষ্টিকভাবে হজ্ব মুসলিম উম্মাহ বা মানবজাতির কী উপকার করে? 
এসব প্রশ্নের যথাযথ উত্তর জানা থাকলেই কেবল সে হজ্ব পাপমুক্তির উপায় হতে পারে।
.
ইসলামের অন্যান্য বিধানের মত হজ্বের বিধানও কেবল মু’মিনদের জন্য। হজ্ব হচ্ছে সারা বিশ্বের মু’মিনদের ঐক্যের প্রতীক। এ কারণে বিদায় হজ্বের ঐতিহাসিক ভাষণে আল্লাহর রসুল বারবার জাতিকে ঐক্যের কথা, ভ্রাতৃত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। কেন ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে? কারণ মুসলিম জাতির একটি উদ্দেশ্য আছে। তাদের লক্ষ্য আল্লাহ ঠিক করে দিয়েছেন। সেটা হচ্ছে- সমস্ত পৃথিবী থেকে অন্যায়, অবিচার, হানাহানি, রক্তপাত, শোষণ, নির্যাতন বন্ধ করে ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠা করা। এ কাজের জন্য জাতির মধ্যে প্রধান যে চারিত্রিক গুণগুলো থাকা দরকার তা হচ্ছে- ঐক্য, শৃঙ্খলা, আনুগত্য। বাহ্যিকভাবে হজ্বের উদ্দেশ্য এই ঐক্য, শৃঙ্খলা, আনুগত্য সৃষ্টি করা। আর আধ্যাত্মিকভাবে সর্বাবস্থায় আল্লাহকে হাজির-নাজির জানা এবং হাশরের ময়দানে তার সামনে সকলকে দণ্ডায়মান হয়ে দুনিয়ার যাবতীয় কর্মের হিসাব দিতে হবে- এই আত্মিক দায়বদ্ধতা উপলব্ধি করানো। 
.
সারা পৃথিবী থেকে মুসলিমরা হজ্বে গিয়ে আরাফাতের ময়দানে একত্রিত হবার মাধ্যমে ঐক্যের প্রশিক্ষণ লাভ করেন। তাদের জাতীয় চেতনা গড়ে ওঠে যে, আমরা পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকি, যে অবস্থাতেই থাকি, আমরা এক জাতি, আমরা ঐক্যবদ্ধ। হজ্বের যত আনুষ্ঠানিকতা আছে তার সবই জাতিকে বিভিন্নভাবে ঐক্যবদ্ধ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ করার প্রশিক্ষণ প্রদান করে। তাদের মধ্যে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরি হয়। সেই সাথে আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার দায়বদ্ধতাও এসে যায়।
.
দ্বিতীয়ত, ঐক্য-সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টির এই মিলনমেলা থেকে শিক্ষা নিয়ে মু’মিনরা নিজ দেশে ফেরত যাবে এবং জাতির মধ্যে ঐক্য স্থাপনে আত্মনিয়োগ করবে- এটাই স্বাভাবিক। তারা ঐক্যের গুরুত্ব বুঝবে। ঐক্য নষ্ট হয় এমন কথা বা কাজ তারা কখনই করবে না। কেউ জাতির মধ্যে ঐক্য বিনষ্ট করার সামান্য চেষ্টা করলেও তারা বাধা দিবে। হজ্বের এই শিক্ষাকে এভাবে বাস্তবায়িত করা হলে কেবল মুসলমানরাই উপকৃত হবে তা নয়, প্রকারান্তরে সমগ্র মানবজাতিই উপকৃত হবে।
.
তৃতীয়ত, শিরক না করার অঙ্গীকার। হজ্বের ময়দানে সমবেত কণ্ঠে উচ্চারিত হয় যে ধ্বনিটি তা হচ্ছে- “লাব্বায়েক আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক, লাব্বায়েকা লা শারীকা লাকা লাব্বায়েক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতাকা লাকা ওয়ার মূল্ক লা শারিকালাক্- আমি হাজির, হে আল্লাহ তোমার সম্মুখে হাজির, তোমার কোন শরিক নেই, নিশ্চয়ই যাবতীয় প্রশংসা ও নিয়ামত তোমারই এবং তাবত রাজত্ব ও সার্বভৌমত্ব তোমারই, তোমার কোন শরিক নেই।”
.
আল্লাহর আদেশ-নিষেধের কিছু মানলাম আর কিছু মানলাম না- এটাই হচ্ছে বড় শিরক। কাজেই আল্লাহর হুকুমকে সামগ্রিক জীবনে মান্য করার অঙ্গীকারই হচ্ছে শিরক থেকে মুক্ত থাকা। হজ্বের ময়দানে এই অঙ্গীকার করা হয়। এই সাক্ষী দিয়ে বা শিরক না করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে যখন মু’মিনরা নিজ দেশে ফেরত যাবে তখন তারা নিজেরা যেমন শিরক থেকে দূরে থাকবে জাতিকেও শিরকমুক্ত রাখার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে। এতেও জাতি অত্যন্ত লাভবান হবে।
.
অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে-হজ্বের এই প্রশিক্ষণগুলো যথাযথভাবে হৃদয়ে ধারণ করে মুসলিমরা যখন নিজ নিজ দেশে ফিরে গিয়ে তার প্রতিফলন ঘটাতে থাকবে, তখন স্বভাবতই একদিকে তারা ব্যক্তিগতভাবে আত্মিক উৎকর্ষতা অর্জন করবে, অন্যদিকে জাতি তার লক্ষ্য অর্জনে অনেকটা পথ এগিয়ে যাবে। হজ্বকে আত্মশুদ্ধি বা পাপমুক্তির মাধ্যম বলার কারণ এটাই।
.
অথচ বাস্তবে আমরা যা দেখছি তা ভিন্ন চিত্র। সারা পৃথিবী থেকে লক্ষ লক্ষ মুসলমান তাদের ঐক্যের কেন্দ্রভূমি মক্কায় একত্রিত হন, কিন্তু কেন আল্লাহ হজ্বের বিধান দিয়েছেন সেটাই তারা জানেন না। হজ্বকে তারা নিছক আধ্যাত্মিক বিষয় বা উপাসনা হিসেবে পালন করেন। তারা পাপমুক্তির জন্য হজ্বে যান, হজ্বের আনুষ্ঠানিকতা পুংখানুপুংখভাবে পালন করেন, তারপর চুপচাপ বাড়ি ফিরে আসেন। ঐক্য-সম্প্রীতির কোনো শিক্ষা না তারা নিজেরা গ্রহণ করেন, না জাতিকে শিক্ষা দেন। তারা হজ্ব করেন আর জাতি শিরকের সমুদ্রে হাবুডুবু খায়। সম্প্রীতি-ভ্রাতৃত্ব অধরাই থেকে যায়। মুসলিমের হাতে মুসলিমের রক্ত ঝরে। দিন দিন অনৈক্য-সংঘাত, প্রতারণা, দুর্নীতি, হিংসা, বিদ্বেষ, রক্তপাত ধাই ধাই করে বাড়তে থাকে। যত দিন যায়, সমাজ ন্যায় ও সত্য থেকে তত দূরে সরে যায়।
.
এমতাবস্থায়, এই হজ্ব প্রকৃতপক্ষেই আমাদের পাপমুক্ত করতে সক্ষম হচ্ছে কি?

প্রকাশিত- দৈনিক বজ্রশক্তি, 13/09/16

Saturday, September 10, 2016

শত্রুতার চর্চা, বন্ধুত্বের চর্চা

আপনি যে-ই হোন না কেন, আপনি আমার শত্রু- এ কথার স্বপক্ষে ১০১টা কারণ দেখাতে পারব।
আপনি যে-ই হোন না কেন, আপনি আমার বন্ধু- এ কথার স্বপক্ষে ১০১টা কারণ দেখাতে পারব।
এখন আমাদেরকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে- আমরা শত্রুতার চর্চা করব, নাকি বন্ধুত্বের চর্চা করব? দেশ কিন্তু ডুবছে।
Like
Comment
Comments
DrMd Maksude Mowla হোক বন্ধুত্বের চর্চা
Kazi Abdallah Al Mahfuz উই আর লুকিং ফর বনধুজ।
Hamid Niloy ভাই রাখেনতো আপনার দেশের কথা।আমি ভালই আছি,গরু কোরবানি দিচ্ছি, ঈদে দারুন মজা করবো।গালফ্রেন্ডকে নিয়া ঘুরতে যাবো।পারলে আইস্যা দাওয়াত খাইয়া যান। দেশ আছে,সরকার আছে।ব্যাস নো চিন্তা ডু ফূর্তি।
Asad Ali
Write a reply...
Abul Bashar ভাই এখন আমাদের নীতিকথা শোনার সময় নাই। আমরা গরু কোরবানি করব, আনন্দ ফুর্তি করব গোস্ত খাব। দেশ গোল্লায় যায় যাক আমি ভাল আছি।
Shuhanur Rahman Himsel বন্ধুত্বের
LikeReply6 hrs
MD Didar · Friends with Arafat Pathan and 10 others
ভাই আমাদেরকে উত্তান করা হয়েছে মানব জাতির কল্যাণকরার জন্য। আমরা সারথপর হই কেমন করে।চলুন আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে এগিয়ে যায়।

ধর্মকে পচা বিরিয়ানি বানাল কারা?

সাদাভাত পচলে ধুয়ে-মুছে লবণ ছিটিয়ে খেয়ে ফেলা যায়, বিরিয়ানি পচলে খাওয়া যায় না।
সাহসী উত্তর চাই- ধর্মকে পচা বিরিয়ানি বানাল কারা?
Like
Comment
Comments
Shoaib Sohag ধর্মের স্বার্থানেষী বাবুর্চীরা।
Atikur Rahman আমাদের তথাকথিত আলেম সমাজ
Hamid Niloy ধর্মজীবি শকুনি মোল্লারা।
Bashir Aslam আলেমরা
Adiba Islam স্বার্থান্বেষী ধর্ম বিকৃতিকারীরা।যারা ধর্মকে নিজেদের পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করে ইচ্ছামত ফতোয়া তৈরি করে ধর্মকে নিজেদের কাছে আবদ্ধ করে রেখেছে।
Raju Mojumder ধর্মকে পুজি করে যারা রাজনিতি করে তাদের জন্য আজ ধর্মের বদনাম , জাতির বদনাম ,
Sultana Razia ধর্মকে মানবতার কল্যাণে কাজে না লাগিয়ে যারা নিজের কল্যাণে কাজে লাগিয়েছে তারা।
Selim Reza ধর্ম ব্যবসায়ী আলেমরা
Monshi Zakir Hossan কাঠ মোল্লার দল।
Biswajit Chakraborty ধর্ম কী আগে তা পরিষ্কার করা দরকার । ধর্ম হলো কিছু প্রাচীন লোকের উন্নত চিন্তা । যতই উন্নত হোক তার সীমাবদ্ধতা আছেই , তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থা ,মূল্যবোধ এসবের উপরে ধর্মগুলো দাঁড়িয়ে । এখন যুগ এগিয়ে গেছে , মানুষের সামাজিক অবস্হা উন্নত হয়েছে ,মূল্যবোধ উন্নত হয়েছে ,ধর্ম এসবের সাথে তাল মেলাতেই পারছে না । যেমন ১৪০০ বছর আগে ৭ বছরের শিশুকে বিয়ে করলে পাপ ছিল না , এখন তো জেলে যেতে হবে । বিরিয়ানী ও ধর্ম দুটোই মানুষের তৈরী , সময়ে নিজে নিজেই পঁচে যেতে বাধ্য ।
Riyadul Hassan ধর্ম কী তা আগে পরিষ্কার করা দরকার। সহমত।
Nizam Uddin আসলে ধর্ম হচ্ছে কোন বস্তুর অন্ত নিহিত গুন যা সে ধারন করে । যেমন আগুনের ধর্ম হচ্ছে সে পোড়াবে ও তাপ দিবে ,পানির ধর্ম বিজাবে এই ভাবে প্রত্যাক বস্তুর কিছু না কিছু গুন থাকে যা ঐ বস্তুর নিজেস্ব সক্রিয়তা প্রকাশ পায় সেটাই ঐ বস্তুর ধর্ম । প্রশ্ন হোল মানুষের ধর্ম কি , কে ধার্মিক,কি কাজ করলে তার মানব জনম স্বার্থক হবে তা জানা অতি জরুলি। এই প্রশ্ন গুলোর সঠিক উত্তর না জানার কারনে আজ ধর্ম আমাদের কোন (ব্যাক্তি গত,পারিবারিক ,সামাজিক) সমস্যার সমাধান কোরতে পারেনা ।তাই দেখে চিন্তা শীল লেকেরা (Biswajit Chakraborty মত) ধর্মের প্রতি বিশ্বাস হারিয়েছে । আর এর জন্য দায়ী আমাদের ধর্মজীবি পুরুহীতরা যারা ধর্মনিয়ে শুধু স্বার্থ উদ্ধার করে । আসলে প্রকৃত পক্ষে মানুষের প্রধান ধর্ম হোল মানবতা।আমি একাল সে কাল বুঝিনা সব কালের জন্য প্রয়োজন।যে মানুষ অন্য মানুষের দুঃখ ,কষ্ট দেখার পর তার নিজের মনে সে দুঃখ ,কষ্ট অনুভব করবে এবং ঐ কষ্ট কি ভাবে দুর করা যায় সে প্রচেষ্টা করবে তখন সে হবে ধার্মিক, আর এই প্রচেষ্টার নামেই হোল জেহাদ অর্থাৎ অন্য মানুষকে সুখ এবং শান্তি দেওয়া, কেউ যেন না খেয়ে থাকে,কনো প্রকার কষ্ট না করে, এর জন্য নিজের জীবন ও সম্পদকে মানবতার জন্য বিলিয়ে দিবে সে হবে মোমেন ,তার মানব জনম হবে স্বার্থক ।প্রত্যাক মানুষ যদি তার ধর্ম ধারন করে সমাজে যে রুপ আসবে তা হল শান্তি মানে ইসলাম।আর এই কাজ করার জন্য প্রশিক্ষন হিসাবে দেওয়া হল নামাজ ,রোজা ,হজ্ব ,যাকাত,ইত্যাদি। আজ ধর্মের এই শিক্ষা হারিয়ে যাওয়ার কারনে আমাদের সকলের ধর্ম পরিচয় মিথ্যা হয়ে গেছে।তাই আমরা বলতে চাই রাত জেগে তাহাজ্জতের নামাজ পড়া য়েমন সোয়াবের কাজ কিন্তু তার থেকে বড় সোয়াব হল সমাজের মধ্য চুরি ডাকাতি যেন না হয় সে জন্য রাত জেগে পাহারা দেওয়া ,আমার পাম্বের প্রতিবেশী যদি না খেয়ে থাকে তাহলে আমি টাইলস দিয়ে মসজিদ বানালে কনো সোয়াব হবেনা ।তাই মানুষের কল্যান হয়,উপকার হয় সেটাই ধর্মের কাজ ,সোয়াবের কাজ আর মানুষের ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ ধর্মের কাজ হতে পারেনা ।
Biswajit Chakraborty নিরীহ পুরোহিত বা নিরীহ মৌলোবীকে দোষ দিয়ে লাভ নেই । এ হলো শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা । 
বস্তুর গুনকে তার ধর্ম বলে ? আগুন পোড়ায় ,জল ভেজায় এসব বস্তুর ধর্ম ? আগুনে এক সেকেন্ড হাত দিলে আগুন পোড়াতে পারবে না । ফুটন্ত জল পুড়িয়েই দেবে । বাসী ধর্মও অমানবিক হতে 
বাধ্য ।

আপনি যত বড় উদার আলমের কাছেই যান , জিজ্ঞেস করুন রবীন্দ্রনাথ, বিদ্যাসাগর ,আইনষ্টাইন , বুদ্ধ ইনারা বেহশতে যাবেন কী ? সবাই বলবে ইনারা কাফের ,ইনারা দোজখেই যাবেন । এত অশ্রদ্ধা , বিদ্বেষ ,ঘৃণা নিয়ে মানবতা হয় ? ধর্ম এভাবে মানুষকে অমানুষ বানাচ্ছে । Nizam Uddin ।
Asad Ali Biswajit Chakraborty what do you mean by মূল্যবোধ? এটা একটু ব্যাখ্যা করুন।
Biswajit Chakraborty মূল্যবোধ means human values . সোজা কথায় মূল্যবোধ হলো তাই , যা দিয়ে মানুষ কোনটা ঠিক কোনটা বেঠিক তা মনে করে ,কোনটা করা উচিত কোনটা অনুচিত তা ঠিক করে ,কোনটা ন্যায় কোনটা অন্যায় তা ঠিক করে । এই মূল্যবোধ তৈরী হয় পারিবারিক শিক্ষা , সমাজিক ও দেশীয় সামাজিক পরিবেশ , এবং ধর্মীয় চেতনা ও এরকম কিছু উপাদান দিয়ে ।
এই মূল্যবোধ কিন্তু পরিবর্তনশীল । যেমন দেড় হাজার বছর আগে ৭ বছরের শিশুকে বিয়ে করা পাপ মনে হয় নি । এখন করলে জেলে যেতে হবে । আগে রাজা বা নেতার সামান্য বিচার না মানলেই ,বা রাজার বিরূদ্ধে কবিতা লিখলেই কবিকে হত্যা করা পাপ মনে করতো না , আর এখন হাসিনা বা মোদিকে রাস্তায় প্রকাশ্যে বা সংবাদ পত্রে কঠোর সমালোচনা করা যায় , আধুনিক গনতান্ত্রিক মূল্যবোধ সেই স্বাধীনতাকে শ্রদ্ধা করে । আগে যুদ্ববন্দীকে হত্যা করা অন্যায় মনে করতো না ,এখন এটা আন্তর্জাতিক আইন ও মূল্যবোধে অন্যায় ।
মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে । চিন্তা এগিয়ে যাচ্ছে । মূল্যবোধ ও সভ্যতা এগিয়ে যাচ্ছে । কিন্তু কিছু লোক সভ্যতাকে ১৪০০ বছর পিছিয়ে দিতে চায় ছলে ,বলে ,কৌশলে ।
LikeReply23 hrs
Asad Ali Biswajit Chakraborty 
আপনার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ+ বাকস্বাধীনতা+মানবাধিকার = শূন্য। 
.

মানবসভ্যতার অস্তিত্বই এখন হুমকির মুখে। শুধু গত শতকেই পৃথিবীতে যত যুদ্ধ হয়েছে, রক্তারক্তি হয়েছে, যত কোটি বনি আদম প্রাণ হারিয়েছে, বিকলাঙ্গ হয়েছে ও যত মানুষ অধিকার হারিয়েছে, মানবতার যত অবক্ষয় হয়েছে মানবজাতির ইতিহাসে তার এক ভগ্নাংশও হয় নি।
LikeReply123 hrsEdited
Biswajit Chakraborty আপনি শিশুবিবাহ ,গনিমতে , বন্দীহত্যার যুগে ফিরে যান । আধুনিক যুগের সমস্যা আধুনিক উপায়ে solve হবে । কালো জিরা দিয়ে cancer সারবে ??
LikeReply23 hrs
Asad Ali Biswajit Chakraborty গণিমত এ যুগে নেই? ওই যুগে গণিমত ছিল যুদ্ধ করতে আসা পরাজিত সৈন্যের সম্পদ। যারা যুদ্ধ করতে আসে নি তাদের জান-মাল থাকত নিরাপদে। কিন্তু আপনার কথিত আধুনিক মূল্যবোধের যুগে পুরো একটি দেশই গণিমত হিসেবে গণ্য হয়। সামরিক মানুষ দশটা মরতে বেসামরিক মরে শত শত। লাখ লাখ নারী ধর্ষিত হয়। সেই ধর্ষিত নারীকে আবার বাধ্য করা হয় জারজ সন্তান প্রসব করতে। ইসলামের যুদ্ধ হয়েছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে, ন্যায় প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ। আর আজকে সাম্রাজ্যবাদীরা সমস্ত পৃথিবীতে যে যুদ্ধের স্ফূলিঙ্গ জ্বেলে রেখেছে তা তেল-গ্যাস আর অস্ত্রবাণিজ্যের যুদ্ধ।
.
আপনি বললেন- আধুনিক মূল্যবোধ নাকি উন্নত, সেই উন্নত মূল্যবোধের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে, এই মূল্যবোধের ধারক হয়ে, এই সমাজের একজন হয়ে অতীতকে দোষারোপ করার অধিকারই থাকে না। এ যুগে যে সকল বর্বর কর্মকাণ্ডকে আইনগতভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় তা কোনো মূল্যবোধেই স্বীকৃত হবার কথা না। ওইযুগে ব্যাভিচারকে অন্যায় মনে করা হত, আর আধুনিক যুগের মূল্যবোধ চেঞ্জ হয়ে ব্যাভিচারকে অধিকারের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কুকুরের মত রাস্তাঘাটে যেখানে সেখানে অবাধ মেলামেশা করা নাকি প্রগতিশীলতার অংশ।
.
ওই যুগে যুদ্ধবন্দীদেরকে হত্যা করা হত এটা ভুল কথা। ইসলামের ইতিহাসে মুসলমানরা অনেক যুদ্ধবন্দীকে মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে, এমনকি কারও কারও মুক্তিপণও দেয়া লাগে নি। অন্যদিকে আজকের যুগে হত্যা করা তো হয়ই, উপরন্তু মানবাধিকারের বুলি কপচানো শক্তিগুলো যদি হত্যা নাও করে, তথাপি যুদ্ধবন্দীদের উপর যে কদর্য নির্যাতন চালানো হয় তা কোনো সুস্থ বিবেকের মানুষ সহ্য করতে পারবে না। গোয়ান্তানামো বে, আবু গারীব কারাগারের ইতিহাস পড়ুন। ১৪০০ বছর আগের যুদ্ধবন্দীরা মুক্তি চাইত, আজকের যুদ্ধবন্দীরা মরে গিয়ে বেঁচে যেতে চায়। হায়রে মূল্যবোধ! হায়রে উন্নতি!
LikeReply123 hrs
Asad Ali সনাতন ধর্মের ইতিহাসও কম উজ্জ্বল নয়। মানুষ আত্মিক ও নৈতিকভাবে এতই শক্তিশালী ছিল যে, কেউ দুধে পানি মেশাবে, মাপে কম দিবে, মিথ্যা কথা বলবে- এটা কল্পনাও করা যেত না। অথচ আপনার আধুনিকতার যুগে মানুষ সব হারিয়েছে।
LikeReply22 hrsEdited
Biswajit Chakraborty এখন যে কারাগারে বন্দীদের অত্যাচর করা হয় তা অপরাধ । তখন তো চোখ তুলে নিলেও অপরাধ ছিল না । বলেছি তো আধুনিক যুগের সমস্যা আধুনিক উপায়ে solve হবে । কালো জিরা কাজে আসবে না । হিন্দুর সারিবাদী সালসাও কাজ দেবে না । ।
LikeReply22 hrs
Biswajit Chakraborty ওই যুগে যুদ্ধবন্ধীকে হত্যা করা হতো না ? ইমাম গাজ্জালীর ইয়াহেয়া উলুমুদ্দিন পড়ুন ।
LikeReply20 hrs
Asad Ali
Write a reply...
Jahangir Alom ধর্ম ব্যেবসাই আলেমরা
Nasir B S Sorkar যারা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে তারা, সে দলে আপনিও থাকতে পারেন কিংবা আপনার দল।
Asad Ali আমি বা আমার দলও তার মধ্যে থাকতে ‘পারি’। এই পারি বা ‘পারেন’ এক জিনিস আর নিশ্চিতভাবে ‘করা’ আরেক জিনিস।
Asad Ali
Write a reply...
Md Khaled ধর্মকে মানবতার কল্যাণে কাজে না লাগিয়ে যারা নিজের কল্যাণে কাজে লাগিয়েছে তারা। , আর তারাই ধ'ম ব্যবসায়ী।
Abbdul Karim Khan ধর্মজীবি শকুনি মোল্লারা।
Ashiek Ekbal Ashiek Ekebal অধর্মের শকুনিরা
তহুরা তহুরা যাদের মানবতা নেই তারা
Abul Kalam Azad Rubel ধর্মজীবি আলেম পুরহীত শ্রেনী
Shakibur Rahaman শুনলাম, হিযবুত তাওহীদের সদস্যদের লাশ মরার পরেও পচে না।অবিকৃত অবস্থায় থাকে।ঘটনা কী আসলেই সত্য? তাহলে এর কারণ কি! 
N Alam Sikder কারনটা যদি জানতে চান তাহলে
একটু কষ্ট করে আমাদের একটি ডকুমেন্টারী ফিল্ম আছে যার নাম
হলো(দার্জ্জাল প্রতিরোধ কারীর সম্মান ও পূরস্কার)এই DVD টা দেখে নিলেই আপনি সব বুঝতে পারবেন আশা করি।চাইলে Pen Drive এর মাধ্যমেও সংগ্রহ করে Lep Top এ দেখতে পারবেন।

দেখার জন্য অনুরোধ রইলো।

ধন্যবাদ আপনাকে।
LikeReply2Yesterday at 10:49amEdited
Asad Ali মেহেরপুরের একজন লোকের ক্ষেত্রে তেমন ঘটেছে। সেখানে আমাদের একজন সদস্য ইন্তেকাল করার প্রায় ছয় মাস পর কবর ধ্বসে গেলে দেখা যায় তার লাশ পচে নি। তবে সবার ক্ষেত্রেই এমনটা হচ্ছে সে দাবি কোথাও করি নি আমরা।
.
মৃত্যুর এক-দুই ঘণ্টা পর থেকে সাধারণত মৃত ব্যক্তির শরীর
 শক্ত ও ঠান্ডা হতে থাকে। এটাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলে রাইগার মর্টিজ। কিন্তু আমাদের অধিকাংশ সদস্যদের বেলায় তেমনটা ঘটছে না। শরীরের তাপমাত্র থাকছে স্বাভাবিক এবং শরীর শক্তও হচ্ছে না। এই ঘটনার ব্যাখ্যা জানার জন্য আমরা সারা দেশের হাজার হাজার ডাক্তারের কাছে গিয়েছি, এমনকি ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশের বাইরেরও ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞদের কাছে জানতে চেয়েছি। তারা কেউই ঘটনাটির ব্যাখ্যা দিতে পারেন নি।
.
হেযবুত তওহীদের সদস্যরা বিশ্বপ্রতারক দাজ্জালের ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করছে, যে দাজ্জালের ভবিষ্যদ্বাণী আল্লাহর রসুল করেছিলেন। হাদীসে আছে- দাজ্জাল প্রতিরোধকারীদের মর্যাদা হবে বদর ও ওহুদ উভয় যুদ্ধের শহীদের মর্যাদার সমান। অর্থাৎ যারা দাজ্জাল প্রতিরোধ করবে তারা হবে শহীদ। এদিকে কোর’আনে আল্লাহ শহীদদের ব্যাপারে বলছেন- তাদেরকে মৃত বল না, তারা জীবিত ও রবের কাছ থেকে রিজিকপ্রাপ্ত। এখানে ‘জীবিত’ বলতে আল্লাহ রূপক অর্থে জীবিত বলেন নি তার প্রমাণ তিনি বলছেন তারা রবের কাছ থেকে রিজিকপ্রাপ্ত। অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে শহীদদের মৃত্যু অন্য দশজনের মত নয়। 
.
এখন আমরা যদি এভাবে বিষয়টির ব্যাখ্যা করি যে, হেযবুত তওহীদের সদস্যরা দাজ্জাল প্রতিরোধ করার কারণে রসুলের হাদীস মোতাবেক শহীদের মর্যাদা লাভ করছে, এবং কোর’আনের ভাষ্যমোতাবেক তারা অন্য দশজন মানুষের মত ‘মারা’ যাচ্ছে না, তারা প্রত্যক্ষ দুনিয়া থেকে পর্দাগ্রহণ করছে মাত্র, তাহলে বিষয়টি মিলে যাচ্ছে।
Asad Ali
Write a reply...
Nizam Uddin বর্তমানে যারা ধর্মের দোকান খুলে বসে আছে তারা
Motahar Hossain যারা ধর্মকে পেশা হিসাবে নিয়েছে।
Mahadhe Hasan Redoy ধর্মজীবি আগুন খাদোকরা।
Shamim Bokhtiar ধর্ম আর ধর্মের আইন এসব মানুষের সৃষ্টি। অলৌকিক বলতে কিছু নাই কখনো ছিলনা।
প্রতেকটি সমাজের যেমন আইন থাকে একটি রাষ্ট্রের যেমন আইন তৈরি করে থাকে ধর্মীয় আইন ও এর উর্ধে নয়। আমরা বাস্তবতা মেনে নিতে ভয় করি এবং খুবই বাজে ভাবে ধারণ করি এবং ভয় পাই এটাই সত্যি
Nizam Uddin আসলে ধর্ম হচ্ছে কোন বস্তুর অন্ত নিহিত গুন যা সে ধারন করে । যেমন আগুনের ধর্ম হচ্ছে সে পোড়াবে ও তাপ দিবে ,পানির ধর্ম বিজাবে এই ভাবে প্রত্যাক বস্তুর কিছু না কিছু গুন থাকে যা ঐ বস্তুর নিজেস্ব সক্রিয়তা প্রকাশ পায় সেটাই ঐ বস্তুর ধর্ম । প্রশ্ন হোল মানুষের ধর্ম কি , কে ধার্মিক,কি কাজ করলে তার মানব জনম স্বার্থক হবে তা জানা অতি জরুলি। এই প্রশ্ন গুলোর সঠিক উত্তর না জানার কারনে আজ ধর্ম আমাদের কোন (ব্যাক্তি গত,পারিবারিক ,সামাজিক) সমস্যার সমাধান কোরতে পারেনা ।তাই দেখে চিন্তা শীল লেকেরা (Biswajit Chakraborty মত) ধর্মের প্রতি বিশ্বাস হারিয়েছে । আর এর জন্য দায়ী আমাদের ধর্মজীবি পুরুহীতরা যারা ধর্মনিয়ে শুধু স্বার্থ উদ্ধার করে । আসলে প্রকৃত পক্ষে মানুষের প্রধান ধর্ম হোল মানবতা।আমি একাল সে কাল বুঝিনা সব কালের জন্য প্রয়োজন।যে মানুষ অন্য মানুষের দুঃখ ,কষ্ট দেখার পর তার নিজের মনে সে দুঃখ ,কষ্ট অনুভব করবে এবং ঐ কষ্ট কি ভাবে দুর করা যায় সে প্রচেষ্টা করবে তখন সে হবে ধার্মিক, আর এই প্রচেষ্টার নামেই হোল জেহাদ অর্থাৎ অন্য মানুষকে সুখ এবং শান্তি দেওয়া, কেউ যেন না খেয়ে থাকে,কনো প্রকার কষ্ট না করে, এর জন্য নিজের জীবন ও সম্পদকে মানবতার জন্য বিলিয়ে দিবে সে হবে মোমেন ,তার মানব জনম হবে স্বার্থক ।প্রত্যাক মানুষ যদি তার ধর্ম ধারন করে সমাজে যে রুপ আসবে তা হল শান্তি মানে ইসলাম।আর এই কাজ করার জন্য প্রশিক্ষন হিসাবে দেওয়া হল নামাজ ,রোজা ,হজ্ব ,যাকাত,ইত্যাদি। আজ ধর্মের এই শিক্ষা হারিয়ে যাওয়ার কারনে আমাদের সকলের ধর্ম পরিচয় মিথ্যা হয়ে গেছে।তাই আমরা বলতে চাই রাত জেগে তাহাজ্জতের নামাজ পড়া য়েমন সোয়াবের কাজ কিন্তু তার থেকে বড় সোয়াব হল সমাজের মধ্য চুরি ডাকাতি যেন না হয় সে জন্য রাত জেগে পাহারা দেওয়া ,আমার পাম্বের প্রতিবেশী যদি না খেয়ে থাকে তাহলে আমি টাইলস দিয়ে মসজিদ বানালে কনো সোয়াব হবেনা ।তাই মানুষের কল্যান হয়,উপকার হয় সেটাই ধর্মের কাজ ,সোয়াবের কাজ আর মানুষের ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ ধর্মের কাজ হতে পারেনা ।
Asad Ali ধর্ম তো নিছক আইন-বিধান নয়, ধর্মগ্রন্থগুলোও কোনো আইনের বই নয়, ধর্ম হচ্ছে মূল্যবোধের বিষয়। ন্যায়-অন্যায়, সত্য-মিথ্যার পার্থক্য করে দেয় ধর্ম। তারপর মানুষকে আহ্বান জানায় ন্যায়ের ধারক হয়ে জীবনযাপন করতে। 
.
সব ব্যবস্থাতেই আইন-কানুন আছে, ধর্মেও যে নেই তা নয়, 
কিন্তু অন্য ব্যবস্থাতে আইন-কানুনই সার, মানুষের মানবিক মূল্যবোধ, নৈতিকতাবোধ জাগ্রত করার কোনো পথ ওসব সিস্টেমে নেই। তাই যখন অপরাধ বৃদ্ধি পায়, তার তালে তালে আইন-কানুনও বৃদ্ধি করা হয়, শাস্তির কঠোরতাও বাড়তে থাকে সেই সাথে। তবু অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব হয় না। 
.
অন্যদিকে ধর্ম ভারসাম্যপূর্ণ। একদিকে যেমন অপরাধীকে শাস্তির ব্যবস্থা আছে, তেমনই মানুষের মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করা ও নৈতিক উৎকর্ষতা সাধনের ব্যবস্থাও আছে ধর্মে। তাই নির্মল ধর্মকে ধারণ করতে পারে যে সমাজ, সেখানে প্রাকৃতিক নিয়মেই অন্যায়, অপরাধ, দুর্নীতি ইত্যাদি শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। ইতিহাসে এর যথেষ্ট দৃষ্টান্ত আছে। এই সফলতার মূল কারিগর আইন নয়, দণ্ডও নয়, মূল্যবোধ।
Asad Ali
Write a reply...
Aparna Bhowmik ধর্ম ব্যবসায়ী স্বৈর শাসকরা যাদের আমরা এখন বলি রাজনীতিবিদ।
Md Rashd Surkar Liton স্বার্থবাদি আলেম সমাজ
Md Tahurul Islam ধর্মব্যাবসায়ীরা,
Khandokar Rasel ধম্ ব্যবসায়ী, কাট মোল্লারা
Mb Sheikh যারা নিজেরাই পঁচা খিচুড়ি অর্থাৎ ধর্মব্যবসায়ি গোষ্ঠী আর ধান্দাবাজ রাজনীতিক মিক্সড।
LikeReply1Yesterday at 1:50amEdited
হাবিব রেজা স্বার্থান্বেষী ধর্ম বিকৃতিকারীরা।যারা ধর্মকে নিজেদের পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করে ইচ্ছামত ফতোয়া তৈরি করে ধর্মকে নিজেদের কাছে আবদ্ধ করে রেখেছে।
Mohammad Shahin ধর্মব্যবসায়ী, উর্গ আস্তিক এবং উর্গ নাস্তিকরা
N Alam Sikder যারা ধর্মটাকে সুক্ষাতিসুক্ষ
ব্যাখ্যা বিশ্লেশন কইরা, হাজারো
রকমের মসলা মাখাইয়া পঁচা

বিরিয়ানির মধ্যে পঁচা-বাসি তরকারী ও
পঁচা-বাসি ডাইল মিশাইয়া জগাখিচুরী মার্কা একটা ইসলাম দ্বার করাইয়া রাখিয়াছে, তারা ছাড়া আর কারা ?
বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে দেখবেন
মাইক লইয়া বইসা বইসা,
সেই খিচুরী বেইচা লইছে পইসা।
যে যতো বড়ো নোট দেবে
তার বেলায় ততো বড়ো মাশাআল্লাহ্
তারে খিচুরী একটু বেশী কইরা দেন।
LikeReply4Yesterday at 6:37amEdited
Mofizul Eslam ধর্মব্যবসায়িরা
Aminul Islam Tara আতহার ভাইর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, কমেন্ট বক্সে Shakibur Rahaman নামে একজন প্রশ্ন করেছেন। উনার উত্তর দেয়া দরকার।
Atahar Hossain উত্তর দেওয়া হয়েছে। তিনি বোধ হয় ডকুমেন্টারিটা দেখে ফেলেছেন ইতোমধ্যে।
Aminul Islam Tara ধন্যবাদ
Asad Ali
Write a reply...
Gyan Shondhani সাদা ভাত পচলে ওটা দিয়ে মদও বানানো যায় কিন্তু পচা বিরিয়ানি শুয়রেও খায় না শুনেছি হিহিহি
Sabbir Hossain ধর্মকে পচা বিরানী বানিয়েছে ধর্মব্যবসায়ীরা, আর শেষ পচন ঘাতি মলমটা লাগিয়েছে পশ্চিমারা। পরে এটাকে আরো দুগন্ধ ময় করে চারদিকে ছড়িয়ে দিতেও খুব আন্তরিক ভাবে সহযোগিতা করেছে তারা।
Gyan Shondhani কোরানে নাকি সকল বিদ্যা, বিজ্ঞান বিদ্যমান! তাহলে পশ্চিমাদের 'চাল' ধরার কায়দা/কৌশলটা নেই কেন? তাহলে এটা পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ হলো কী করে??
Asad Ali Gyan Shondhani বখাট্য যুক্তি। আমি কিন্তু কোর’আনে এই জ্ঞান খুঁজে পেয়েছি। যারা সত্যের ধারক হবে তারা পাবে।
Asad Ali
Write a reply...
লাইজু আহমেদ মহুয়া নোংরা মনের অজ্ঞ মানুষরা পচা বি: বানিয়েছে।
পৃথিবীতে ৭ শ কোটির মাঝে
৬ শ ৯৯ শ কোটি মানুষ নোংরা অজ্ঞ
Abid Azam Pocha polaw,ora bollei apni mene neben keno? Islam r name beboher kore just agulo hoese
Asad Ali আপনার মনোভাব আমি বুঝতেছি। আমার ধারণা আপনিও আমার মনোভাব জানেন। কিন্তু ভাই, বাস্তবতা বলে একটি কথা আছে। আমরা আবেগ দিয়ে বাস্তবতাকে জয় করতে পারি না। আজকে যে বাস্তবতা তৈরি হয়েছে তা আমাদেরই ব্যর্থতার ফলে সৃষ্টি হয়েছে। এখন সে বাস্তবতাটাকেও যদি অস্বীকার করি সেটা আরও বড় ব্যর্থতা হবে। সমাধানের পূর্বশর্ত হচ্ছে- সমস্যা চিহ্নিতকরণ।
.
ইসলামকে পশ্চাদপদ, বর্বর, আধুনিক যুগে অনুপযোগী বিশ্বাস হিসেবে এত বেশি প্রচার করা হয়েছে এবং হচ্ছে (অবশ্যই যৌক্তিকভাবেই করা হচ্ছে) যে, পৃথিবীব্যাপী বিষয়টি অনেকাংশেই গৃহীত হয়ে গেছে। ইসলামের নাম শুনলে মুসলমান ঘরের সন্তানরাই এখন নাক ছিকটাই। আর অন্য ধর্মাবলম্বীরা ইসলামকে ভালোবাসবে বা শ্রদ্ধা করবে কি, ইসলাম তাদের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই আতঙ্ক এমনি এমনি সৃষ্টি হয় নি, আমরা মুসলমান নামধারীরাই সৃষ্টি করেছি। জঙ্গিবাদ আর কিছু নয় আমাদের ‘ব্যর্থতা’।
.
আমাদেরই কর্মফল হিসেবে আজ ইসলাম এমন একটি চোরাবালিতে আটকে গেছে যেখান থেকে টেনে তোলা এক প্রকার অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তবু আমাদের চেষ্টা করতেই হবে। তবে এই চেষ্টা তখনই সফল হবে যখন আমরা আবেগনির্ভরতা পরিহার করে বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা-পর্যালোচনার মাধ্যমে নিজেদের অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের কর্মপন্থা নির্ধারণ করব। এই পোস্ট সেই লক্ষ্যেই করা হয়েছে।
Asad Ali
Write a reply...
Hasinur Rahman আমি জানি, কিন্তু কমু না।
Alamgir Jibon ১. ধর্মব্যবসায়ী শ্রেনী ২. ধর্ম নিয়ে অপরাজনীতিকরা
UnlikeReply13 hrs