জঙ্গিবাদের হুমকিতে রয়েছে যে দেশগুলো সে দেশের সরকারের বড় মাথাব্যথার কারণ- জেহাদ। জাদু-টোনা, মন্ত্র-টন্ত্র বা যে কোনো পদ্ধতিতে যদি তারা একবার ইসলাম থেকে জেহাদকেই নাই করে দিতে পারতেন তাহলে নিশ্চিতভাবেই যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচতেন। খুব সম্ভবত আল্লাহর কাছে এদের গুরুতর অভিযোগ হলো- আল্লাহ তুমি ইসলামের কথা বললা, ভ্রাতৃত্বের কথা বললা, ঐক্যের কথা বললা, অন্যের অধিকার রক্ষার কথা, হক্বের কথা বললা সবই ভালো ভালো কথা বললা, ভালো ভালো বিধান দিলা, কিন্তু জেহাদের কথাটা কেন বললা? এইটার কী দরকার ছিল? এই জিনিসটার ঠেলায় আমাদের আরামের ঘুম হারাম হয়ে গেল।
.
এমন অভিযোগ করেন যারা তাদের জবাব আল্লাহ দিয়েছেন তাঁর একজন প্রিয় সত্যনিষ্ঠ বান্দার মাধ্যমে। আল্লাহর রহমে হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাতা, এমামুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী জেহাদের প্রকৃত মর্মার্থ মানুষের সামনে উপস্থাপন করেছেন। তিনি জেহাদ, কেতাল ও সন্ত্রাসের মধ্যে বিভেদরেখা টেনে দিয়েছেন। কোনটা জেহাদ, কোনটা কেতাল আর কোনটা জেহাদের নামে সন্ত্রাস- সে বিষয়ে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন তিনি।
.
মহামান্য এমামুযযামান বলেছেন- ইসলাম নামক দেহে জেহাদ হচ্ছে রক্ত সঞ্চালন। যে দেহে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ থাকে সে দেহ আর জীবিত থাকে না। সুতরাং জেহাদ লাগবেই। জেহাদ ছাড়া কোনো ইসলাম নাই। জেহাদহীন ইসলাম খোঁজার কোনো প্রচেষ্টাও অতীতে হয় নাই। যারা বড় জিহাদ (জেহাদে আকবর) আবিষ্কার করেছেন, তারাও ছোট জেহাদকে (!) অস্বীকার করতে পারেন নি।
.
কোর’আনের শত শত আয়াত, জেহাদকে উদ্বুদ্ধ করে হাদীসের হাজার হাজার বাণী এবং রসুল ও তার আসহাবদের শত শত যুদ্ধের ইতিহাস জানবে যে ব্যক্তি, একজন মুসলিম হিসেবে জেহাদের আবশ্যকতা বুঝতে তার বাঁকি থাকবে না। যতক্ষণ ফেতনা-ফাসাদ পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে না যায়, ততক্ষণ জেহাদ চালিয়ে যেতে আদেশ দিয়েছেন আল্লাহ। যারা জেহাদ ছাড়বে তাদের সাথে রসুল সকল প্রকার সম্পর্কছেদ করেছেন। সুতরাং জেহাদ বাদ দেওয়ার চিন্তা বাস্তবতার সাথে একেবারেই যায় না, আমাদেরকে তাই জেহাদের সঠিক ব্যাখ্যা জানতে হবে।
.
জেহাদ হচ্ছে সমাজের অন্যায়, অবিচার, অত্যাচার, হানাহানি, রক্তপাত, বৈষম্য, শোষণ ইত্যাদির বিরুদ্ধে ব্যক্তিগতভাবে সংগ্রাম আর প্রয়োজন হলে রাষ্ট্রীয়ভাবে যুদ্ধ। যে সমাজে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ নেই, অবিচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম নেই, অসত্যের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারী নেই সে সমাজ আর যাই হোক মানবসমাজ নয়। সে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা অলীক কল্পনা ছাড়া কিছু নয়। যেহেতু ইসলাম অর্থই হচ্ছে শান্তি, যেহেতু কোনো স্থানে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত আছে কিনা বুঝতে হলে দেখতে হবে সে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত আছে কিনা, সুতরাং শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই জেহাদ অপরিহার্য। জেহাদ ছাড়া শান্তি নাই, জেহাদ ছাড়া ইসলাম নাই। অন্যায় দেখে মুখ বুঁজে বসে থাকার নাম ইসলাম নয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামের নাম ইসলাম। অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহ্য করে উভয়ই সমান অপরাধী। ফেতনা সৃষ্টি করার নাম ইসলাম নয়, ফেতনা নির্মূলের উদ্দেশ্যে সংগ্রামের নাম ইসলাম।
.
আর রাষ্ট্রীয়ভাবে অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করে শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে যুদ্ধ করার দরকার পড়লে সে যুদ্ধ হচ্ছে কিতাল। মদীনায় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগে রসুল কোনো যুদ্ধ করেন নি। তখন কেবল ব্যক্তি ও দলগতভাবে ন্যায় ও সত্যের পক্ষে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানিয়েছেন। তারপর মদীনায় রাষ্ট্রগঠনের পর থেকে রসুল যে যুদ্ধগুলো করেছেন সেগুলো কোনো ব্যক্তি বা দলীয় অবস্থান থেকে করেন নি। করেছেন রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। যুদ্ধ করেছেন রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে, কোনো ব্যক্তি বা গোত্রের বা কোনো ধর্মের বিরুদ্ধেও নয়। ওটা কেতাল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে কেতালের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করা যায়।
.
মানবজাতির ইতিহাসে কখনই যুদ্ধকে নিষিদ্ধ করা হয় নাই। আপনাকে দেখতে হবে- যুদ্ধের উদ্দেশ্য কী, কার স্বার্থে যুদ্ধ করা হচ্ছে, কী লক্ষ্যে যুদ্ধ করা হচ্ছে। ইসলাম যে কেতালের অনুমতি দেয় তা মানবতার কল্যাণকামী। মানবতার অকল্যাণ হয় যে যুদ্ধে সেটা আর যাই হোক ইসলামের কেতাল নয়। ওটা সন্ত্রাস।
.
বিগত শতকে আফগানে যখন রাশিয়া আগ্রাসী হামলা চালালো, নির্বিচারে সাধারণ মানুষকে ধরে ধরে গণহত্যা চালাতে লাগলো, আফগানরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হলো। ওই যুদ্ধকে অনেকে কেতাল বলে অভিহিত করে থাকেন। কিন্তু রাশিয়ার আফগান ত্যাগের পর, আফগানের মাটি থেকে বের হয়ে একদল অস্ত্রধারী ইসলামের জেহাদের নাম করে বিভিন্ন দেশে দেশে যে অরাজকতা শুরু করল, এখানে-ওখানে বোমা হামলা করে মানুষ মারা আরম্ভ করল সেটা কখনই ইসলামের কেতাল হতে পারে না। ওটা নিঃসন্দেহে সন্ত্রাস।
.
রাষ্ট্রের শান্তি, শৃঙ্খলা রক্ষা ও বৃহত্তর পরিসরে মানবজাতির শান্তির জন্য প্রয়োজন হলে প্রতিটি মুসলমান জীবনের মায়া ত্যাগ করে রাষ্ট্রের সিদ্ধান্তে, রাষ্ট্রের পক্ষে যুদ্ধ করবে- এটাই আল্লাহর অভিপ্রায়। এক্ষেত্রে অবশ্যই রাষ্ট্রকে ন্যায়ের উপর, হক্বের উপর দণ্ডায়মান হতে হবে। আল্লাহ কখনোই সন্ত্রাস সৃষ্টি বা ফেতনা সৃষ্টির অনুমতি দেন নি। মুসলিমদেরকে মানবতার কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার সঠিক উপায় বাতলে দিয়েছেন মাত্র।
.
এমন অভিযোগ করেন যারা তাদের জবাব আল্লাহ দিয়েছেন তাঁর একজন প্রিয় সত্যনিষ্ঠ বান্দার মাধ্যমে। আল্লাহর রহমে হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাতা, এমামুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী জেহাদের প্রকৃত মর্মার্থ মানুষের সামনে উপস্থাপন করেছেন। তিনি জেহাদ, কেতাল ও সন্ত্রাসের মধ্যে বিভেদরেখা টেনে দিয়েছেন। কোনটা জেহাদ, কোনটা কেতাল আর কোনটা জেহাদের নামে সন্ত্রাস- সে বিষয়ে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন তিনি।
.
মহামান্য এমামুযযামান বলেছেন- ইসলাম নামক দেহে জেহাদ হচ্ছে রক্ত সঞ্চালন। যে দেহে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ থাকে সে দেহ আর জীবিত থাকে না। সুতরাং জেহাদ লাগবেই। জেহাদ ছাড়া কোনো ইসলাম নাই। জেহাদহীন ইসলাম খোঁজার কোনো প্রচেষ্টাও অতীতে হয় নাই। যারা বড় জিহাদ (জেহাদে আকবর) আবিষ্কার করেছেন, তারাও ছোট জেহাদকে (!) অস্বীকার করতে পারেন নি।
.
কোর’আনের শত শত আয়াত, জেহাদকে উদ্বুদ্ধ করে হাদীসের হাজার হাজার বাণী এবং রসুল ও তার আসহাবদের শত শত যুদ্ধের ইতিহাস জানবে যে ব্যক্তি, একজন মুসলিম হিসেবে জেহাদের আবশ্যকতা বুঝতে তার বাঁকি থাকবে না। যতক্ষণ ফেতনা-ফাসাদ পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে না যায়, ততক্ষণ জেহাদ চালিয়ে যেতে আদেশ দিয়েছেন আল্লাহ। যারা জেহাদ ছাড়বে তাদের সাথে রসুল সকল প্রকার সম্পর্কছেদ করেছেন। সুতরাং জেহাদ বাদ দেওয়ার চিন্তা বাস্তবতার সাথে একেবারেই যায় না, আমাদেরকে তাই জেহাদের সঠিক ব্যাখ্যা জানতে হবে।
.
জেহাদ হচ্ছে সমাজের অন্যায়, অবিচার, অত্যাচার, হানাহানি, রক্তপাত, বৈষম্য, শোষণ ইত্যাদির বিরুদ্ধে ব্যক্তিগতভাবে সংগ্রাম আর প্রয়োজন হলে রাষ্ট্রীয়ভাবে যুদ্ধ। যে সমাজে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ নেই, অবিচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম নেই, অসত্যের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারী নেই সে সমাজ আর যাই হোক মানবসমাজ নয়। সে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা অলীক কল্পনা ছাড়া কিছু নয়। যেহেতু ইসলাম অর্থই হচ্ছে শান্তি, যেহেতু কোনো স্থানে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত আছে কিনা বুঝতে হলে দেখতে হবে সে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত আছে কিনা, সুতরাং শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই জেহাদ অপরিহার্য। জেহাদ ছাড়া শান্তি নাই, জেহাদ ছাড়া ইসলাম নাই। অন্যায় দেখে মুখ বুঁজে বসে থাকার নাম ইসলাম নয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামের নাম ইসলাম। অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহ্য করে উভয়ই সমান অপরাধী। ফেতনা সৃষ্টি করার নাম ইসলাম নয়, ফেতনা নির্মূলের উদ্দেশ্যে সংগ্রামের নাম ইসলাম।
.
আর রাষ্ট্রীয়ভাবে অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করে শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে যুদ্ধ করার দরকার পড়লে সে যুদ্ধ হচ্ছে কিতাল। মদীনায় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগে রসুল কোনো যুদ্ধ করেন নি। তখন কেবল ব্যক্তি ও দলগতভাবে ন্যায় ও সত্যের পক্ষে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানিয়েছেন। তারপর মদীনায় রাষ্ট্রগঠনের পর থেকে রসুল যে যুদ্ধগুলো করেছেন সেগুলো কোনো ব্যক্তি বা দলীয় অবস্থান থেকে করেন নি। করেছেন রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। যুদ্ধ করেছেন রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে, কোনো ব্যক্তি বা গোত্রের বা কোনো ধর্মের বিরুদ্ধেও নয়। ওটা কেতাল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে কেতালের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করা যায়।
.
মানবজাতির ইতিহাসে কখনই যুদ্ধকে নিষিদ্ধ করা হয় নাই। আপনাকে দেখতে হবে- যুদ্ধের উদ্দেশ্য কী, কার স্বার্থে যুদ্ধ করা হচ্ছে, কী লক্ষ্যে যুদ্ধ করা হচ্ছে। ইসলাম যে কেতালের অনুমতি দেয় তা মানবতার কল্যাণকামী। মানবতার অকল্যাণ হয় যে যুদ্ধে সেটা আর যাই হোক ইসলামের কেতাল নয়। ওটা সন্ত্রাস।
.
বিগত শতকে আফগানে যখন রাশিয়া আগ্রাসী হামলা চালালো, নির্বিচারে সাধারণ মানুষকে ধরে ধরে গণহত্যা চালাতে লাগলো, আফগানরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হলো। ওই যুদ্ধকে অনেকে কেতাল বলে অভিহিত করে থাকেন। কিন্তু রাশিয়ার আফগান ত্যাগের পর, আফগানের মাটি থেকে বের হয়ে একদল অস্ত্রধারী ইসলামের জেহাদের নাম করে বিভিন্ন দেশে দেশে যে অরাজকতা শুরু করল, এখানে-ওখানে বোমা হামলা করে মানুষ মারা আরম্ভ করল সেটা কখনই ইসলামের কেতাল হতে পারে না। ওটা নিঃসন্দেহে সন্ত্রাস।
.
রাষ্ট্রের শান্তি, শৃঙ্খলা রক্ষা ও বৃহত্তর পরিসরে মানবজাতির শান্তির জন্য প্রয়োজন হলে প্রতিটি মুসলমান জীবনের মায়া ত্যাগ করে রাষ্ট্রের সিদ্ধান্তে, রাষ্ট্রের পক্ষে যুদ্ধ করবে- এটাই আল্লাহর অভিপ্রায়। এক্ষেত্রে অবশ্যই রাষ্ট্রকে ন্যায়ের উপর, হক্বের উপর দণ্ডায়মান হতে হবে। আল্লাহ কখনোই সন্ত্রাস সৃষ্টি বা ফেতনা সৃষ্টির অনুমতি দেন নি। মুসলিমদেরকে মানবতার কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার সঠিক উপায় বাতলে দিয়েছেন মাত্র।
No comments:
Post a Comment