দেশের বাড়িতে এসেছি আজে সাত দিন হলো। এখানে আসার পর থেকে এলাকায় জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন প্রস্তাবনা নিয়ে এখানে ওখানে ছোটাছুটি করে যাচ্ছি। এরই সুবাদে এলাকার মানুষের সাথে মেশামেলারও একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। রাস্তাঘাটে, গাড়ি-ঘোড়ায়, চায়ের স্টলে, ক্ষেতে-খামারে গ্রাম-গঞ্জের মানুষ কী ভাবছে, কী বলছে তা কাছ থেকে দেখতে পেয়েছি। অতঃপর যা দেখেছি, শুনেছি তাতে বিস্মিত হয়েছি, আতঙ্কিত হয়েছি।
.
সাম্রাজ্যবাদ ও জঙ্গিবাদ- এই দুই পায়ে ভর করে যে ভয়ংকর দানব ইরাক-সিরিয়া-লিবিয়া-আফগানিস্তান-পাকিস্তানকে মাড়িয়ে একটু একটু করে আমার দেশের দিকে এগিয়ে আসছে, আমার দেশটাকেও বিরাণভূমিতে পরিণত করতে চাচ্ছে, যে দানবের আগমনী সংকেত শুনে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলোও কী করবে ভেবে পাচ্ছে না, আমাদের সম্পূর্ণ রাষ্ট্রব্যবস্থা নড়ে উঠছে, সরকার বিব্রত, চিন্তিত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে, সেই দেশেরই একটি বিভাগীয় জেলা রাজশাহীর তানোর উপজেলায় সাতটি দিন ঘুরেও কোনো একজন মানুষের মুখে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ নিয়ে একটি কথাও শুনতে পেলাম না। একটি কথাও না। এরা সবাই টিভি দেখে। শত শত হয়ত হাজার হাজার মানুষ খবরের কাগজ পড়ে। এরা সবাই জানে দেশে ধর্মের নামে মানুষ খুন করা হচ্ছে। রাস্তাঘাটে, মন্দিরে, মসজিদে, ঈদগাহে, রেস্টুরেন্টে আল্লাহু আকবার বলে মানুষ জবাই দেয়া হচ্ছে। পুলিশ খুন হচ্ছে।
.
এই তানোর উপজেলারই নর্থ সাউথের সাবেক এক ছাত্র এখন নিখোঁজ আছে, যার ব্যাপারে ধারণা করা হচ্ছে সে জঙ্গি গ্রুপে যোগ দিয়েছে। এই তানোরেই একজন পীরকে গলা কেটে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে, সন্দেহের তীর জঙ্গিদের দিকেই। অথচ সেই তানোরের মানুষ জঙ্গিবাদ-সাম্রাজ্যবাদ-উগ্রবাদ নিয়ে চিন্তিত নয়। এ নিয়ে তারা কথা বলার প্রয়োজন অনুভব করে না। তারা কি কথা কম বলে? মোটেও না। অটোতে আমার পাশের সিটে বসা একজন ব্যক্তিকে দশ কিলো রাস্তা কেবল সিনেমার গল্প করেই কাটিয়ে দিতে দেখেছি। তার কাছে সিনেমার গল্পটাকেই বেশি প্রয়োজনীয় মনে হয়েছে, জঙ্গিবাদ নয়।
.
আমাদের সরকারপ্রধান দুইবেলা নিয়ম করে দেশের মানুষকে সজাগ ও সচেতন থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন, নিজ দলের নেতা-কর্মীকে আহ্বান জানাচ্ছেন নিজ নিজ এলাকায় জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে, সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমাদের তানোর উপজেলাতেও র্যালি হয়েছে, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জঙ্গিবাদবিরোধী কমিটি গঠিত হয়েছে। ভালো কথা। কিন্তু এই যদি হয় তাদের গণসচেতনতার নমুনা, তাহলে বলতেই হবে- এ দেশের কপালে দুঃখ আছে। আপনারা এ দেশকে সাম্রাজ্যবাদী শয়তানি শক্তির হাত থেকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছেন মাননীয় সরকারপ্রধান।
.
আপনার হাতে সব আছে, মিলিটারি আছে, পুলিশ আছে, র্যাব আছে, কিন্তু যা নেই তা সাধারণ মানুষ। যে কারণেই হোক মানুষকে আপনি কাছে টানতে পারেন নি। দেশরক্ষার লড়াইতে তাদেরকে সামিল করতে পারেন নি। আপনার দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী নিজেরাই জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের ভয়াবহতা সম্পর্কে সজাগ নয়, মানুষকে বোঝাবে কী করে? জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইতে কীভাবে জনগণকে সম্পৃক্ত করা যায়- এ নিয়ে চিন্তা করার অবকাশ নেই তাদের। তারা এর চেয়ে শতগুণ বেশি চিন্তিত জঙ্গিবাদবিরোধী কমিটিতে কাকে কাকে নেয়া হচ্ছে, তার নাম থাকছে কিনা, থাকলেও কোন পদে থাকছে, নেতার নেকনজর তার প্রতি পড়ছে কিনা ইত্যাদি নিয়ে।
.
তারা যদি বিষয়টির গুরুত্ব বুঝত তাহলে আমরা হেযবুত তওহীদ যখন তাদের কাছে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আদর্শিক লড়াইয়ের আহ্বান জানাতে যাই, যখন প্রকৃত ইসলাম দিয়ে বিকৃত ইসলামের অসারতা বোঝাতে যাই, যখন ন্যায় ও সত্যের উপর তাদেরকে দণ্ডায়মান হবার আহ্বান জানাই, তখন তারা বলত না যে, আমরা এই কাজ ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছি, আপনারা আবার নতুন করে কী করতে চান? এ কথার ভেতর যেমন অবজ্ঞা আছে, তেমন অহংকারও আছে। সে অহংকার তাদের পতন ডেকে না আনুক সেই কামনা করি।
.
’’ছাত্রলীগের অ্যাকশন-ডাইরেক্ট অ্যাকশন’’ এই স্লোগান দিয়ে জঙ্গিবাদ মোকাবেলার অলীক স্বপ্ন যেন কেউ না দেখে। আপনারা আপনাদের কর্মসূচি চালিয়ে যান, নিষেধ করছি না, শুধু এটুকু বলব- এই সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে যদি মানুষকে প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা দেওয়া না হয়, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ন্যায় ও সত্যের পক্ষে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা না যায়। আর এ কথা আজ হোক কাল হোক সবাইকে স্বীকার করতে হবে যে, প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা একমাত্র হেযবুত তওহীদের কাছেই আছে।
.
সাম্রাজ্যবাদ ও জঙ্গিবাদ- এই দুই পায়ে ভর করে যে ভয়ংকর দানব ইরাক-সিরিয়া-লিবিয়া-আফগানিস্তান-পাকিস্তানকে মাড়িয়ে একটু একটু করে আমার দেশের দিকে এগিয়ে আসছে, আমার দেশটাকেও বিরাণভূমিতে পরিণত করতে চাচ্ছে, যে দানবের আগমনী সংকেত শুনে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলোও কী করবে ভেবে পাচ্ছে না, আমাদের সম্পূর্ণ রাষ্ট্রব্যবস্থা নড়ে উঠছে, সরকার বিব্রত, চিন্তিত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে, সেই দেশেরই একটি বিভাগীয় জেলা রাজশাহীর তানোর উপজেলায় সাতটি দিন ঘুরেও কোনো একজন মানুষের মুখে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ নিয়ে একটি কথাও শুনতে পেলাম না। একটি কথাও না। এরা সবাই টিভি দেখে। শত শত হয়ত হাজার হাজার মানুষ খবরের কাগজ পড়ে। এরা সবাই জানে দেশে ধর্মের নামে মানুষ খুন করা হচ্ছে। রাস্তাঘাটে, মন্দিরে, মসজিদে, ঈদগাহে, রেস্টুরেন্টে আল্লাহু আকবার বলে মানুষ জবাই দেয়া হচ্ছে। পুলিশ খুন হচ্ছে।
.
এই তানোর উপজেলারই নর্থ সাউথের সাবেক এক ছাত্র এখন নিখোঁজ আছে, যার ব্যাপারে ধারণা করা হচ্ছে সে জঙ্গি গ্রুপে যোগ দিয়েছে। এই তানোরেই একজন পীরকে গলা কেটে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে, সন্দেহের তীর জঙ্গিদের দিকেই। অথচ সেই তানোরের মানুষ জঙ্গিবাদ-সাম্রাজ্যবাদ-উগ্রবাদ নিয়ে চিন্তিত নয়। এ নিয়ে তারা কথা বলার প্রয়োজন অনুভব করে না। তারা কি কথা কম বলে? মোটেও না। অটোতে আমার পাশের সিটে বসা একজন ব্যক্তিকে দশ কিলো রাস্তা কেবল সিনেমার গল্প করেই কাটিয়ে দিতে দেখেছি। তার কাছে সিনেমার গল্পটাকেই বেশি প্রয়োজনীয় মনে হয়েছে, জঙ্গিবাদ নয়।
.
আমাদের সরকারপ্রধান দুইবেলা নিয়ম করে দেশের মানুষকে সজাগ ও সচেতন থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন, নিজ দলের নেতা-কর্মীকে আহ্বান জানাচ্ছেন নিজ নিজ এলাকায় জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে, সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমাদের তানোর উপজেলাতেও র্যালি হয়েছে, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জঙ্গিবাদবিরোধী কমিটি গঠিত হয়েছে। ভালো কথা। কিন্তু এই যদি হয় তাদের গণসচেতনতার নমুনা, তাহলে বলতেই হবে- এ দেশের কপালে দুঃখ আছে। আপনারা এ দেশকে সাম্রাজ্যবাদী শয়তানি শক্তির হাত থেকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছেন মাননীয় সরকারপ্রধান।
.
আপনার হাতে সব আছে, মিলিটারি আছে, পুলিশ আছে, র্যাব আছে, কিন্তু যা নেই তা সাধারণ মানুষ। যে কারণেই হোক মানুষকে আপনি কাছে টানতে পারেন নি। দেশরক্ষার লড়াইতে তাদেরকে সামিল করতে পারেন নি। আপনার দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী নিজেরাই জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের ভয়াবহতা সম্পর্কে সজাগ নয়, মানুষকে বোঝাবে কী করে? জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইতে কীভাবে জনগণকে সম্পৃক্ত করা যায়- এ নিয়ে চিন্তা করার অবকাশ নেই তাদের। তারা এর চেয়ে শতগুণ বেশি চিন্তিত জঙ্গিবাদবিরোধী কমিটিতে কাকে কাকে নেয়া হচ্ছে, তার নাম থাকছে কিনা, থাকলেও কোন পদে থাকছে, নেতার নেকনজর তার প্রতি পড়ছে কিনা ইত্যাদি নিয়ে।
.
তারা যদি বিষয়টির গুরুত্ব বুঝত তাহলে আমরা হেযবুত তওহীদ যখন তাদের কাছে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আদর্শিক লড়াইয়ের আহ্বান জানাতে যাই, যখন প্রকৃত ইসলাম দিয়ে বিকৃত ইসলামের অসারতা বোঝাতে যাই, যখন ন্যায় ও সত্যের উপর তাদেরকে দণ্ডায়মান হবার আহ্বান জানাই, তখন তারা বলত না যে, আমরা এই কাজ ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছি, আপনারা আবার নতুন করে কী করতে চান? এ কথার ভেতর যেমন অবজ্ঞা আছে, তেমন অহংকারও আছে। সে অহংকার তাদের পতন ডেকে না আনুক সেই কামনা করি।
.
’’ছাত্রলীগের অ্যাকশন-ডাইরেক্ট অ্যাকশন’’ এই স্লোগান দিয়ে জঙ্গিবাদ মোকাবেলার অলীক স্বপ্ন যেন কেউ না দেখে। আপনারা আপনাদের কর্মসূচি চালিয়ে যান, নিষেধ করছি না, শুধু এটুকু বলব- এই সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে যদি মানুষকে প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা দেওয়া না হয়, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ন্যায় ও সত্যের পক্ষে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা না যায়। আর এ কথা আজ হোক কাল হোক সবাইকে স্বীকার করতে হবে যে, প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা একমাত্র হেযবুত তওহীদের কাছেই আছে।
No comments:
Post a Comment