Tuesday, September 6, 2016

ধর্মহীন ইসলাম পালন

1.আমরা লেবাস ধরেছি। নিখুঁত লেবাস। আমাদের দাড়ি-টুপি-জোব্বা-পাগড়ী-টাখনুতে ভুল ধরে এমন সাধ্য কার আছে?
2.আমরা আরবি শিখেছি। কাঁটায় কাঁটায় শুদ্ধ উচ্চারণে কোর’আন তেলাওয়াত করি। উচ্চারণে ভুল ধরে এমন সাধ্য কার আছে?
3.আমরা কোর’আনের তফসির করেছি, ফিকাহর পাহাড় বানিয়েছি, শরীয়তের ধারা-উপধারা আমাদের ঠোটস্থ, কোন বিষয়ে ফতোয়া দরকার বলেই দেখেন।
4. আমাদের লাখ লাখ মাদ্রাসা। কোটি কোটি ছাত্র। আরও আছে বিভিন্ন প্রকারের ইসলামী গবেষণা সংস্থা, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী টিভি চ্যানেল, ইসলামী পত্র-পত্রিকা, ম্যাগাজিন ইত্যাদি। নতুন প্রজন্ম টাটকা ইসলামী জ্ঞান নিয়ে বড় হচ্ছে।
5. আমাদের লাখ লাখ টাইলসের মসজিদ। কোন কোনটায় সোনার গম্বুজ বসানো। মনোরম কারুকার্যখচিত এসব মসজিদ অতি উচ্চ ডিগ্রীধারী ইমাম ও মুয়াজ্জিনের সুরেলা কণ্ঠে মুখরিত থাকে।
6. আমরা বিরাট বিরাট পীর সাহেব হয়েছি। সুফিসম্রাট হয়েছি। মাহবুবে খোদা হয়েছি। মুজাদ্দিতে যামান হয়েছি। আমরা ফুঁ দিয়ে আগুন জ্বালাই, পানির উপর দিয়ে হেঁটে যাই। মানুষের ভূত-ভবিষ্যৎ বলে দেই। এসব দেখে আমাদের কোটি কোটি অনুসারী জুটেছে। তারা আমাদের চোখের ইশারায় জীবন দিতে প্রস্তুত।
.
জ্বি, আপনারা সব পারেন, আপনাদের সব আছে, কেবল ধর্ম নাই। ধর্ম নাই বলে এতকিছু থাকার পরও সারা পৃথিবীতে আপনারা মার খান। আপনারা পরাজিত, লজ্জিত ও ঘৃণিত হন। আপনাদের ভূ-খণ্ডগুলোকে সাম্রাজ্যবাদের রঙ্গমঞ্চ বানানো হয়, একটার পর একটা দেশ মাটির সাথে গুড়িয়ে দেওয়া হয়, মেয়েরা ধর্ষিত হয়, কোটি কোটি মানুষকে দেশান্তরিত করা হয়।
.
সত্যি যদি আপনাদের ‘ধর্ম’ থাকত তাহলে এ অন্যায় চলতে পারত না। যখন আপনাদের ‘ধর্ম’ ছিল তখন এত গ্রন্থের বাহার ছিল না, এত শুদ্ধ উচ্চারণের হিড়িক ছিল না, এত আলেম-ওলামা-পীর-মুর্শিদের ঠাসাঠাসি ছিল না, এত ফিকাহ আর শরীয়তের ধারা-উপধারা ছিল না, কিন্তু সমাজে ছিল শান্তি, নিরাপত্তা, সুখ, স্বচ্ছলতা। মানুষের ঈমান মানুষের কল্যাণেই কাজে লাগত, অকল্যাণ হত না। আজ কেতাব হয়েছে, কেতাবধারী পুরোহিত হয়েছে, শুধু শান্তি উঠে গেছে। আর শান্তি নেই মানেই ধর্ম নেই।
.
আমার কথাগুলো শুনে অনেকে হয়ত চটে যাবেন। তাতে লাভ হবে না। রূঢ় বাস্তবতা স্বীকার করতেই হবে। সমস্যাকে এড়িয়ে গেলে সমাধান হয় না। মুসলিমদের এই অধঃপতনের কারণ, পৃথিবীব্যাপী নির্যাতিত হবার প্রধান কারণ হচ্ছে- তারা লাখো কেতাব, কেতাবধারী পণ্ডিত, আনুষ্ঠানিকতা আর লেবাস-সুরতের ভিড়ে আসল ধর্মটাই হারিয়ে ফেলেছে। এমনটা হবে জেনেই আল্লাহর রসুল বলেছিলেন- এমন সময় আসবে যখন ইসলাম শুধু নাম থাকবে, কোর’আন শুধু অক্ষর থাকবে, মসজিদসমূহ লোকে লোকারণ্য হবে, সেখানে হেদায়াহ থাকবে না। (হাদীস)

////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////
Shoaib Sohag যৌক্তিক এবং কঠিন বাস্তবকে তুলে ধরেছেন।
জাজাকাল্লাহ্।
Md Toslim Uddin সহমত
Parabir Hossen · Friends with Km Delowar and 14 others
কবে খুলবে এই ধর্ম বেবসায়ি দের মুখোস কবে হবে প্রকরিত শান্তির ধর্ম
Sami Ul Haq Shohag কাজী সাহেবের সেই যুগান্তকারী ভাষ্য.....
18 hrs · Privacy: Friends
Add Photos · More
...See More
Kazi Abdallah Al Mahfuz সত্য অকপটে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ। কঠিন সত্য হজম করতে ব্যাপক কষ্ট হবে। মান্দারের ডাল দিয়ে ইয়ের উপর পিটাইলে যে অবস্থা হয় সেইরকম মাইর হইছে। দেখা যাক এই মাইরে সম্বিত ফিরে আসে কিনা।
Asheke Mahdi · Friends with Atahar Hossain and 22 others
মুসলমানেরা রাসূল (সঃ) এর শরীয়ত ঠিকমত পালন করছে না। তারা ইসলামের মূল দিক গুলো বাদ দিয়ে ছোট দিকগুলো নিয়ে ব্যস্ত আছে।আর নামধারী আলেমগণ যেহেতু শান্তি প্রতিষ্ঠায় কোন অবদান রাখছে না, নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে চলছে, তাই শান্তি চলে গেছে ,ইসলাম চলে গেছে।মুসলমানদের করুন পরিনতিতে ইমাম মাহদী (আঃ) কে দরকার। তাকে ছাড়া ইসলাম ফিরে আসবে না।
Abul Hasem Chayon ,ধারুন উপস্তাপনা
Aminul Islam Aminul · 3 mutual friends
অসাধারন, সত্য প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ, যেটা চলছে সেটা আল্লাহ রাসুলের ইসলাম না,অর্থাৎ এ ইসলাম ইসলামি না।
Khan Mahabub রাইট
Mohsin Alam এর চেয়ে সোজা-সাপ্টা কথা আর কি হতে পারে? এর পরেও যাদের হুস আসবেনা তাদের হুস আসার সম্ভাবনা খুবই কম মনে হয়।
মাসুদুর রহমান এখন প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে আমরা সেই
প্রকৃত ধর্মকে আবার ফিরে পেতে পারি অর্থাৎ এখন আমাদের করণীয় কি?
Nurul Ghani রুঢ় বাস্তবতা......ধন্যবাদ আপনাকে..
Md Anisur Rahaman ঠিক বলছেন ভাই,




No comments:

Post a Comment