বিগত দিনে আমাদের সরকারগুলো কেবল জিহাদের আলোচনা এড়িয়ে থাকাকেই যথেষ্ট মনে করে নি, সর্বান্তকরণে চেষ্টা চালিয়েছে জিহাদ ও জঙ্গিবাদকে গুলিয়ে ফেলে একটি জিহাদবিরোধী সেন্টিমেন্ট তৈরি করতে। এটি ছিল আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। আমি বলব সাম্প্রতিক সন্ত্রাসবাদের উত্থানের পেছনে সরকার ও কথিত সুধী মহলের এই জিহাদবিরোধী অবস্থান অনেকাংশে দায়ী।
আপনি জিহাদের কথা বললেন না মানেই জিহাদ সম্পর্কে কেউ জানল না, জিহাদের বিধানটা ‘নাই’ হয়ে গেল- বিষয়টা তেমন নয়। কোর’আন-হাদীসের পাতায় পাতায় আছে জিহাদের উৎসাহ, যুদ্ধের বর্ণনা, যুদ্ধের নিদের্শ, সন্ধি-চুক্তির বিধান ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থার নীতিমালা। এগুলো মানুষ পড়ছে না ভেবেছেন? যে ব্যক্তি জীবনে একবারও জিহাদ করার আশাবাদও ব্যক্ত করে নি সে মুনাফিকের একটি শাখায় মৃত্যুবরণ করল- রসুলের এই হাদীস কি হাওয়ায় মিশে গেছে? না।
মানুষ পড়ছে, জানছে এবং জিহাদের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছে। কিন্তু কীভাবে জিহাদ করবে, কোন কাজ করলে সেটা জিহাদ হিসেবে গণ্য হবে, কোন প্রেক্ষাপটে কার সাথে কী লক্ষ্যে লড়াই করবে- এসবের কোনো সঠিক ব্যাখ্যা তারা পাচ্ছে না। এই যে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষের ‘‘জিহাদ করতে হবে’’ জানা কিন্তু কেন ও কীভাবে করতে হবে তা ‘‘না জানা’’- এটা খুব ভয়াবহ ব্যাপার। যে ব্যক্তি জানে তাকে বেঁচে থাকতে হলে খাবার খেতে হবে কিন্তু জানে না কী খাবার খেতে হবে তার হাতে বিষের বোতল ধরিয়ে দেন সে খেয়ে ফেলবে।
এ কারণেই জিহাদের কথা বলে এ দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে দিয়ে যা ইচ্ছা করানো যায়। বাসে ককটেল বা পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করে নিরীহ মানুষ পোড়ানোকে জিহাদ বলে চালানো যায়। নির্দিষ্ট মার্কায় ভোট দেওয়াকে ভোটজিহাদ বলে চালানো যায়। ‘এটা চাই ওটা চাই’ হুজুগ তুলে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস করাকে জিহাদ বলে চালানো যায়। খ্রিষ্টান, কাফের, মুরতাদ ফতোয়া দিয়ে নিরীহ মানুষ হত্যা করাকে জিহাদ বলে চালানো যায়। মালাউন উচ্ছেদের হুজুগ তুলে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদেরকে খুন, ধর্ষণ করাকে জিহাদ নামে চালানো যায়। ঠান্ডা মাথায় মানুষ জবাইকেও জিহাদ বলে চালানো যায়।
জিহাদের আহ্বান শুনলেই হাজার হাজার মানুষ জড় হয়ে যায়, কেউ খতিয়ে দেখার প্রয়োজনবোধ করে না যে, জিহাদের আহ্বান কে করছে, কেন করা হচ্ছে, জিহাদের নামে যা করতে বলা হচ্ছে তা ইসলামসম্মত কিনা, যে আহ্বান করছে তার সে অধিকার আছে কিনা।
কোর’আনে রোজার নির্দেশ আছে মাত্র একবার, আর জিহাদের নির্দেশ আছে অন্তত দেড়শরও বেশি আয়াতে। অথচ রোজার ব্যাপারে বেতার-টেলিভিশনে, পত্রিকা-ম্যাগাজিনে, ইফতার পার্টিতে হাজারো শব্দ উচ্চারিত হলেও, রোজার সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম বিষয় নিয়েও ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলোচনা করা হলেও, জিহাদের বেলায় সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। জিহাদ নামক ভাসুরের নাম যেন মুখে আনতে মানা।
আল্লাহ যে বিধানটাকে এত গুরুত্ব দিলেন আমাদের মডারেট সম্প্রদায়ের কাছে যেন তার কোনো দামই নাই। জিহাদের ব্যাপারে এদের এই ঢাকঢাক গুড়গুড় অবস্থানের কারণেই জঙ্গিরা খুব সহজে একচেটিয়াভাবে মানুষের ঈমানী চেতনাকে অপব্যবহার করার সুযোগ পায়। অন্যরাও জিহাদের নাম করে মানুষকে দিয়ে যা-তা করাতে পারে। অথচ আজ যদি জিহাদের সঠিক ব্যাখ্যা, সামগ্রিক কনসেপ্টটা মানুষের জানা থাকত, রাষ্ট্র যদি জিহাদের বিধানকে গোপন করার বৃথা চেষ্টা না করে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে জিহাদের সঠিক ব্যাখ্যা প্রচারে উদ্যোগী হত, তাহলে জিহাদ নিয়ে এত দুশ্চিন্তার কারণ থাকত না। আল্লাহর সোজা-সাপ্টা হুকুমের বিপরীতে ‘জিহাদে আকবর’ নামক ভাওতাবাজীও আবিষ্কার করতে হত না।
আপনি জিহাদের কথা বললেন না মানেই জিহাদ সম্পর্কে কেউ জানল না, জিহাদের বিধানটা ‘নাই’ হয়ে গেল- বিষয়টা তেমন নয়। কোর’আন-হাদীসের পাতায় পাতায় আছে জিহাদের উৎসাহ, যুদ্ধের বর্ণনা, যুদ্ধের নিদের্শ, সন্ধি-চুক্তির বিধান ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থার নীতিমালা। এগুলো মানুষ পড়ছে না ভেবেছেন? যে ব্যক্তি জীবনে একবারও জিহাদ করার আশাবাদও ব্যক্ত করে নি সে মুনাফিকের একটি শাখায় মৃত্যুবরণ করল- রসুলের এই হাদীস কি হাওয়ায় মিশে গেছে? না।
মানুষ পড়ছে, জানছে এবং জিহাদের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছে। কিন্তু কীভাবে জিহাদ করবে, কোন কাজ করলে সেটা জিহাদ হিসেবে গণ্য হবে, কোন প্রেক্ষাপটে কার সাথে কী লক্ষ্যে লড়াই করবে- এসবের কোনো সঠিক ব্যাখ্যা তারা পাচ্ছে না। এই যে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষের ‘‘জিহাদ করতে হবে’’ জানা কিন্তু কেন ও কীভাবে করতে হবে তা ‘‘না জানা’’- এটা খুব ভয়াবহ ব্যাপার। যে ব্যক্তি জানে তাকে বেঁচে থাকতে হলে খাবার খেতে হবে কিন্তু জানে না কী খাবার খেতে হবে তার হাতে বিষের বোতল ধরিয়ে দেন সে খেয়ে ফেলবে।
এ কারণেই জিহাদের কথা বলে এ দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে দিয়ে যা ইচ্ছা করানো যায়। বাসে ককটেল বা পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করে নিরীহ মানুষ পোড়ানোকে জিহাদ বলে চালানো যায়। নির্দিষ্ট মার্কায় ভোট দেওয়াকে ভোটজিহাদ বলে চালানো যায়। ‘এটা চাই ওটা চাই’ হুজুগ তুলে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস করাকে জিহাদ বলে চালানো যায়। খ্রিষ্টান, কাফের, মুরতাদ ফতোয়া দিয়ে নিরীহ মানুষ হত্যা করাকে জিহাদ বলে চালানো যায়। মালাউন উচ্ছেদের হুজুগ তুলে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদেরকে খুন, ধর্ষণ করাকে জিহাদ নামে চালানো যায়। ঠান্ডা মাথায় মানুষ জবাইকেও জিহাদ বলে চালানো যায়।
জিহাদের আহ্বান শুনলেই হাজার হাজার মানুষ জড় হয়ে যায়, কেউ খতিয়ে দেখার প্রয়োজনবোধ করে না যে, জিহাদের আহ্বান কে করছে, কেন করা হচ্ছে, জিহাদের নামে যা করতে বলা হচ্ছে তা ইসলামসম্মত কিনা, যে আহ্বান করছে তার সে অধিকার আছে কিনা।
কোর’আনে রোজার নির্দেশ আছে মাত্র একবার, আর জিহাদের নির্দেশ আছে অন্তত দেড়শরও বেশি আয়াতে। অথচ রোজার ব্যাপারে বেতার-টেলিভিশনে, পত্রিকা-ম্যাগাজিনে, ইফতার পার্টিতে হাজারো শব্দ উচ্চারিত হলেও, রোজার সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম বিষয় নিয়েও ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলোচনা করা হলেও, জিহাদের বেলায় সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। জিহাদ নামক ভাসুরের নাম যেন মুখে আনতে মানা।
আল্লাহ যে বিধানটাকে এত গুরুত্ব দিলেন আমাদের মডারেট সম্প্রদায়ের কাছে যেন তার কোনো দামই নাই। জিহাদের ব্যাপারে এদের এই ঢাকঢাক গুড়গুড় অবস্থানের কারণেই জঙ্গিরা খুব সহজে একচেটিয়াভাবে মানুষের ঈমানী চেতনাকে অপব্যবহার করার সুযোগ পায়। অন্যরাও জিহাদের নাম করে মানুষকে দিয়ে যা-তা করাতে পারে। অথচ আজ যদি জিহাদের সঠিক ব্যাখ্যা, সামগ্রিক কনসেপ্টটা মানুষের জানা থাকত, রাষ্ট্র যদি জিহাদের বিধানকে গোপন করার বৃথা চেষ্টা না করে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে জিহাদের সঠিক ব্যাখ্যা প্রচারে উদ্যোগী হত, তাহলে জিহাদ নিয়ে এত দুশ্চিন্তার কারণ থাকত না। আল্লাহর সোজা-সাপ্টা হুকুমের বিপরীতে ‘জিহাদে আকবর’ নামক ভাওতাবাজীও আবিষ্কার করতে হত না।
No comments:
Post a Comment