যদি আপনি ইসলাম নিয়ে দাঁড়ান তাহলে আপনার অবস্থান হতে হবে যাবতীয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে, ন্যায়ের পক্ষে। নিজের সন্তানও যদি অন্যায় করে আপনি তার সাফাই গাইতে পারেন না, অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া দূরের কথা। আর অন্যায়ের পক্ষ নেয়া তো কল্পনারও অতীত।
.
মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে। ইসলামের নাম ব্যবহার করে বরাবরই ধোঁকাবাজীর পলিটিক্স করে এসেছে পশ্চিম পাকিস্তান। আর এ দেশের মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে এসেছে। দমন-পীড়ন, বৈষম্য ও শোষণের শিকার হয়েছে। বাস্তব জীবনে কেউই ইসলাম (শান্তি) পায় নি। এরই স্বাভাবিক পরিণতি একাত্তর।
.
একদল মানুষ কেবল শক্তির জোরে বছরের পর বছর একটি জাতির সাথে অন্যায় করে যাবে আর ওই জাতি মুখ বুঁজে সহ্য করবে এটা মানবপ্রকৃতির সাথে যায় না। বিদ্রোহ হবেই। সঞ্চিত ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটবেই। তখন সবাইকেই অবস্থান পরিষ্কার করতে হয়- সে কোন পক্ষ নিবে। পক্ষ দুইটা- একদিকে শক্তিশালী কায়েমী স্বার্থবাদ, অন্যদিকে শোষিত-বঞ্চিত নিরস্ত্র প্রতিবাদী জনতা।
.
আপনি মুখে বলবেন ইসলাম চান, আল্লাহর আইন চান, সৎ লোকের শাসন চান, কিন্তু বাস্তবে পক্ষ নিবেন অন্যায়ের, জোর জবরদস্তির, দুঃশাসনের, তা কেমন করে হয়? উপরন্তু আপনার পক্ষশক্তি যখন পরাজিত হলো আপনি বিন্দুমাত্রও লজ্জিত-অনুতপ্ত না হয়ে বিজয়ীদের প্রতিই ছড়ি ঘোরাতে চাইলেন, এও কি বিস্মিত হবার মত ব্যাপার নয়?
.
দেরীতে হলেও যখন আপনাকে বিচারের মুখোমুখী করা হলো আপনি যুক্তি দেখাতে থাকলেন- আপনার কোনো দোষ নেই, আপনি দেশের জন্য হ্যান করেছেন ত্যান করেছেন, রাজনৈতিক কারণে বিচার হচ্ছে ইত্যাদি। আপনি অনেক পণ্ডিত হয়েও একটি সহজ কথা বুঝতে পারছেন না যে, পরাজিতদের কোনো অধিকার থাকে না। আপনি পরাজিত শক্তির প্রতিনিধিত্ব করছেন। আজ যে পরিণতি ভোগ করছেন তা চল্লিশ বছর আগেই ভোগ করা লাগতে পারত। বিজয়ীরা করুণা করে এতদিন বাঁচিয়ে রেখেছে এই তো আপনার সৌভাগ্য।
.
মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে। ইসলামের নাম ব্যবহার করে বরাবরই ধোঁকাবাজীর পলিটিক্স করে এসেছে পশ্চিম পাকিস্তান। আর এ দেশের মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে এসেছে। দমন-পীড়ন, বৈষম্য ও শোষণের শিকার হয়েছে। বাস্তব জীবনে কেউই ইসলাম (শান্তি) পায় নি। এরই স্বাভাবিক পরিণতি একাত্তর।
.
একদল মানুষ কেবল শক্তির জোরে বছরের পর বছর একটি জাতির সাথে অন্যায় করে যাবে আর ওই জাতি মুখ বুঁজে সহ্য করবে এটা মানবপ্রকৃতির সাথে যায় না। বিদ্রোহ হবেই। সঞ্চিত ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটবেই। তখন সবাইকেই অবস্থান পরিষ্কার করতে হয়- সে কোন পক্ষ নিবে। পক্ষ দুইটা- একদিকে শক্তিশালী কায়েমী স্বার্থবাদ, অন্যদিকে শোষিত-বঞ্চিত নিরস্ত্র প্রতিবাদী জনতা।
.
আপনি মুখে বলবেন ইসলাম চান, আল্লাহর আইন চান, সৎ লোকের শাসন চান, কিন্তু বাস্তবে পক্ষ নিবেন অন্যায়ের, জোর জবরদস্তির, দুঃশাসনের, তা কেমন করে হয়? উপরন্তু আপনার পক্ষশক্তি যখন পরাজিত হলো আপনি বিন্দুমাত্রও লজ্জিত-অনুতপ্ত না হয়ে বিজয়ীদের প্রতিই ছড়ি ঘোরাতে চাইলেন, এও কি বিস্মিত হবার মত ব্যাপার নয়?
.
দেরীতে হলেও যখন আপনাকে বিচারের মুখোমুখী করা হলো আপনি যুক্তি দেখাতে থাকলেন- আপনার কোনো দোষ নেই, আপনি দেশের জন্য হ্যান করেছেন ত্যান করেছেন, রাজনৈতিক কারণে বিচার হচ্ছে ইত্যাদি। আপনি অনেক পণ্ডিত হয়েও একটি সহজ কথা বুঝতে পারছেন না যে, পরাজিতদের কোনো অধিকার থাকে না। আপনি পরাজিত শক্তির প্রতিনিধিত্ব করছেন। আজ যে পরিণতি ভোগ করছেন তা চল্লিশ বছর আগেই ভোগ করা লাগতে পারত। বিজয়ীরা করুণা করে এতদিন বাঁচিয়ে রেখেছে এই তো আপনার সৌভাগ্য।
No comments:
Post a Comment