রুশো, ভলতেয়ারের মত দার্শনিক, যাদের লেখা সমাজের নিম্নবর্গের মানুষের চিন্তার জগতে আলোড়ন তুলেছিল, মানুষ মনে করছিল যে, তারা মুক্তির পথ পেয়ে গেছে, সেই দার্শনিকরা খুব যে বাস্তবসম্মত ও বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনা করতেন এবং তাদের তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা নির্ভুল হত, তা বলার উপায় নেই। আজকের যুগে বসে ওই লেখাগুলো পড়লে, ওই চিন্তাভাবনা যাচাই করতে গেলে মোটা দাগের অসংখ্য ভুল চোখে পড়বে, যা আমরা ইতিহাসের শিক্ষা পেয়ে জানতে পেরেছি।
.
কিন্তু তবু ওই দার্শনিকদের চিন্তাভাবনা, লেখালেখি, তাত্বিক আলোচনা সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকে এতই বিমোহিত করে যে, মানুষ মুক্তির আশায় পঙ্গপালের মত জীবন বাজি রেখে কায়েমী স্বার্থবাদীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। এর কারণ আর কিছু নয়, তৎকালীন অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট।
.
দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া গণমানুষের এ ছাড়া আর গতি ছিল না। বাঁচার জন্য একটা না একটা অবলম্বন লাগবে। সেই অবলম্বন কতটা নির্ভুল হলো, কতটা বাস্তবসম্মত হলো, কতটা বিজ্ঞানসম্মত হলো, কতটা প্রাকৃতিক হলো, সেসব না দেখলেও চলে, কারণ তখন লড়াইটা হচ্ছিল বেঁচে থাকার লড়াই।
.
তখন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে কারা বাঁচবে? খেটে খাওয়া দরিদ্র-বুভূক্ষ চাকরশ্রেণি বাঁচবে নাকি দুনিয়ার প্রভু সেজে থাকা মালিকশ্রেণি? তাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল গরীবের ভাঙ্গা কুটির টিকে থাকবে, নাকি রাজপ্রাসাদ টিকে থাকবে?
.
মানুষ সিদ্ধান্ত নিল- তারা বাঁচবে। শুরু হলো বাঁচার লড়াই। এই লড়াইয়ে পৃথিবীর যে স্থানে যে আদর্শ বা তত্ত্বকেই মানুষ পাশে পেয়েছে, গ্রহণ করতে কার্পণ্য করে নি। সেটার নির্ভুলতা বিবেচনা করার মত সুযোগ তাদের হাতে ছিল না। তাছাড়া আজ যত দার্শনিক মতবাদের জন্ম হয়েছে কয়েক শতাব্দী আগে তার সিকিভাগও ছিল না।
.
বর্তমানে তবু ধর্মকে একটি রাজনৈতিক-সামাজিক আদর্শ হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা চলে, তখন তাও ছিল না। ধর্মের অবস্থা কত করুণ ছিল তা আফিমের সাথে তুলনা করে কার্ল মার্ক্স বুঝিয়ে দিয়েছেন। সুতরাং নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো। পড়ে পড়ে মার খেয়ে মরার চাইতে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ভালো।
.
কিন্তু তবু ওই দার্শনিকদের চিন্তাভাবনা, লেখালেখি, তাত্বিক আলোচনা সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকে এতই বিমোহিত করে যে, মানুষ মুক্তির আশায় পঙ্গপালের মত জীবন বাজি রেখে কায়েমী স্বার্থবাদীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। এর কারণ আর কিছু নয়, তৎকালীন অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট।
.
দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া গণমানুষের এ ছাড়া আর গতি ছিল না। বাঁচার জন্য একটা না একটা অবলম্বন লাগবে। সেই অবলম্বন কতটা নির্ভুল হলো, কতটা বাস্তবসম্মত হলো, কতটা বিজ্ঞানসম্মত হলো, কতটা প্রাকৃতিক হলো, সেসব না দেখলেও চলে, কারণ তখন লড়াইটা হচ্ছিল বেঁচে থাকার লড়াই।
.
তখন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে কারা বাঁচবে? খেটে খাওয়া দরিদ্র-বুভূক্ষ চাকরশ্রেণি বাঁচবে নাকি দুনিয়ার প্রভু সেজে থাকা মালিকশ্রেণি? তাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল গরীবের ভাঙ্গা কুটির টিকে থাকবে, নাকি রাজপ্রাসাদ টিকে থাকবে?
.
মানুষ সিদ্ধান্ত নিল- তারা বাঁচবে। শুরু হলো বাঁচার লড়াই। এই লড়াইয়ে পৃথিবীর যে স্থানে যে আদর্শ বা তত্ত্বকেই মানুষ পাশে পেয়েছে, গ্রহণ করতে কার্পণ্য করে নি। সেটার নির্ভুলতা বিবেচনা করার মত সুযোগ তাদের হাতে ছিল না। তাছাড়া আজ যত দার্শনিক মতবাদের জন্ম হয়েছে কয়েক শতাব্দী আগে তার সিকিভাগও ছিল না।
.
বর্তমানে তবু ধর্মকে একটি রাজনৈতিক-সামাজিক আদর্শ হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা চলে, তখন তাও ছিল না। ধর্মের অবস্থা কত করুণ ছিল তা আফিমের সাথে তুলনা করে কার্ল মার্ক্স বুঝিয়ে দিয়েছেন। সুতরাং নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো। পড়ে পড়ে মার খেয়ে মরার চাইতে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ভালো।
No comments:
Post a Comment