ইসলামের জিহাদ অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে। যারা অন্যায় করবে, অত্যাচার করবে, অন্যের সম্পদ মেরে খাবে, শাসনের নামে শোষণ করবে, তাদের হাত থেকে নির্যাতিত-শোষিত মানুষকে মুক্তি দিয়ে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য আল্লাহ জিহাদের নির্দেশ দিয়েছেন। ধরে ধরে কথিত অবিশ্বাসী-কাফের (?) জবাই দেওয়া ইসলামের উদ্দেশ্য নয়।
.
ন্যায় প্রতিষ্ঠার জিহাদ কখনও কখনও চরম আকার ধারণ করে, যেটাকে বলে কিতাল (সশস্ত্র যুদ্ধ)। কিতালের ব্যাপারে কোর’আনে শত শত আয়াত আছে। আল্লাহ মু’মিনদেরকে জান-মাল বাজি রেখে আল্লাহর রাস্তায় কিতাল চালিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন।
.
এখানে মনে রাখা দরকার যে, জিহাদ ও কিতালের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য হচ্ছে- জিহাদ ব্যক্তি, দল, রাষ্ট্র সবাই করতে পারে, সবার জন্যই প্রযোজ্য, সব সময়ের জন্য প্রযোজ্য ও করণীয়। কিতালও জিহাদের মধ্যেই পড়ে, কিন্তু কিতাল আহ্বান করা ও পরিচালনার অধিকার রয়েছে কেবল রাষ্ট্রের। এ দায়িত্ব পালন করবে জাতির ইমাম (রাষ্ট্রনায়ক), অন্য কারও অধিকার নাই জাতির পক্ষ থেকে যুদ্ধ ঘোষণা করার।
.
রাষ্ট্রনায়কের সিদ্ধান্তে কোনো রাষ্ট্র অন্যায়ের মোকাবেলায় তার জনগণকে যুদ্ধের আহ্বান করলে সেই রাষ্ট্রের সত্যনিষ্ঠ ব্যক্তি অর্থাৎ মু’মিনদের কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায় ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন ও সম্পদ দিয়ে লড়াই করা। এই সত্যনিষ্ঠ মু’মিনদের ব্যাপারেই আল্লাহ বলেছেন- আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মু’মিনদের থেকে তাদের জান ও মাল এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহেঃ অতঃপর মারে ও মরে। তওরাত, ইঞ্জিল ও কোরআনে তিনি এ সত্য প্রতিশ্রুতিতে অবিচল। আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেন-দেনের উপর, যা তোমরা করছ তাঁর সাথে। আর এ হল মহান সাফল্য। (সুরা তওবা- ১১১)
.
ন্যায় প্রতিষ্ঠার জিহাদ কখনও কখনও চরম আকার ধারণ করে, যেটাকে বলে কিতাল (সশস্ত্র যুদ্ধ)। কিতালের ব্যাপারে কোর’আনে শত শত আয়াত আছে। আল্লাহ মু’মিনদেরকে জান-মাল বাজি রেখে আল্লাহর রাস্তায় কিতাল চালিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন।
.
এখানে মনে রাখা দরকার যে, জিহাদ ও কিতালের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য হচ্ছে- জিহাদ ব্যক্তি, দল, রাষ্ট্র সবাই করতে পারে, সবার জন্যই প্রযোজ্য, সব সময়ের জন্য প্রযোজ্য ও করণীয়। কিতালও জিহাদের মধ্যেই পড়ে, কিন্তু কিতাল আহ্বান করা ও পরিচালনার অধিকার রয়েছে কেবল রাষ্ট্রের। এ দায়িত্ব পালন করবে জাতির ইমাম (রাষ্ট্রনায়ক), অন্য কারও অধিকার নাই জাতির পক্ষ থেকে যুদ্ধ ঘোষণা করার।
.
রাষ্ট্রনায়কের সিদ্ধান্তে কোনো রাষ্ট্র অন্যায়ের মোকাবেলায় তার জনগণকে যুদ্ধের আহ্বান করলে সেই রাষ্ট্রের সত্যনিষ্ঠ ব্যক্তি অর্থাৎ মু’মিনদের কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায় ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন ও সম্পদ দিয়ে লড়াই করা। এই সত্যনিষ্ঠ মু’মিনদের ব্যাপারেই আল্লাহ বলেছেন- আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মু’মিনদের থেকে তাদের জান ও মাল এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহেঃ অতঃপর মারে ও মরে। তওরাত, ইঞ্জিল ও কোরআনে তিনি এ সত্য প্রতিশ্রুতিতে অবিচল। আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেন-দেনের উপর, যা তোমরা করছ তাঁর সাথে। আর এ হল মহান সাফল্য। (সুরা তওবা- ১১১)
No comments:
Post a Comment