Sunday, July 10, 2016

আইএস, সাম্রাজ্যবাদ ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ

কেউ স্বীকার করুক আর না করুক, এটা প্রমাণিত সত্য যে, বর্তমান পৃথিবীতে এক নম্বর ইস্যু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে জঙ্গিবাদ। আর জঙ্গিবাদ শব্দটি শুনলেই প্রথম যে নামটি মনে পড়ে তা ইসলামিক স্টেট, সংক্ষেপে আইএস। কিছুদিন পূর্বেও পশ্চিমা মিডিয়াকে খাদ্য যোগাত যে তালেবান ও আল কায়েদা, সে স্থান এখন পুরোপুরি আইএস এর দখলে। আন্তর্জাতিক তেল-গ্যাসের নিয়ন্ত্রণ, জমজমাট অস্ত্রব্যবসা এবং ক্ষমতা প্রদর্শনের সাম্রাজ্যবাদী পটভূমিতে হঠাৎ প্রবেশ করে রাতারাতি সারা পৃথিবীর আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে সংগঠনটি। অবশ্য বর্তমানে তাদেরকে সংগঠন বলাটা যৌক্তিক নয়। কারণ এখন তাদের ভূখণ্ড আছে, অস্ত্র আছে, অর্থ আছে, এমনকি অল্প দিনেই তারা একটি রাষ্ট্রকাঠামোও গড়ে তুলেছে।

২০১১ সালের শেষের দিকে সিরিয়ার সরকারবিরোধী আন্দোলন চরম আকার ধারণ করলে দেশটিতে গৃহযুদ্ধের সূচনা হয়। বিদ্রোহী ও সরকারপক্ষের মধ্যে শুরু হয় সশস্ত্র যুদ্ধ। মধ্যপ্রাচ্যের ইজরাইল, সৌদি আরব, তুরস্কসহ পাশ্চাত্য দেশগুলো প্রকাশ্য সমর্থন দিতে থাকে আসাদবিরোধী বিদ্রোহীদের। তারপর খুব অল্প সময়ের ভেতরে সিরিয়ার চালচিত্র পাল্টে যেতে থাকে। সিরিয়ার সমস্যা কেবল দেশের অভ্যন্তরেই নাড়া দেয় নি, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। শুরু হয় পরাশক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে প্রক্সিযুদ্ধ। এরই মধ্যে আল কায়েদাসহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনগুলো ফ্রেমে প্রবেশ করে। জঙ্গিরা লড়াই করতে থাকে সিরিয়ার আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে। শত্র“র শত্র“ বন্ধু- এই নীতিতে বিশ্বাসী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো বাসার আল আসাদের বিরুদ্ধে লড়াইরত ওই জঙ্গিদেরকেই সমর্থন প্রদান করতে থাকে, এমনকি জঙ্গিদেরকে অর্থ দিয়ে ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করতে থাকে। চারদিকে বিতর্ক দানা বাঁধে। যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নাম করে ইরাক-আফগানিস্তান দুইটি দেশকে বিরাণভূমিতে পরিণত করা হলো, তাদেরকেই কোন যুক্তিতে সমর্থন করা হচ্ছে- এমন প্রশ্ন বিচ্ছিন্নভাবে উত্থাপিত হতে থাকে, তবে হালে পানি পায় না পশ্চিমা শক্তির দাপটের মুখে। যাই হোক, আসাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করা আমেরিকার মদদপুষ্ট সেই জঙ্গিদেরই একাংশ আজ আইএস হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে সারা পৃথিবীকে যুদ্ধের আহ্বান করছে। সিরিয়ার পাশাপাশি রক্তগঙ্গা বইছে ইরাকের মাটিতেও। 


তালেবান, আল কায়েদার উত্থান কীভাবে হয়েছিল সে ইতিহাস সম্পর্কে যারা সবিশেষ অবহিত আছেন, তারা আইএস- এর এই উত্থানে পশ্চিমাদের সহায়ক ভূমিকা দেখে বিস্মিত হবেন না। কারণ, তারা জানেন, পশ্চিমা পরাশক্তিগুলো অতীতে এ খেলা অনেকবার খেলেছে এবং বারবার নিজেরা স্বার্থ উদ্ধার করতে গিয়ে বিপদের মুখে ফেলেছে সমগ্র মানবজাতিকে। তারা এও জানেন যে, পৃথিবী থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল হোক পাশ্চাত্য এটা চায় না। তারা এ ইস্যুকে যে কোনো উপায়ে জিইয়ে রেখে তাদের সাম্রাজ্যবাদী শোষণ অব্যাহত রাখতে চায়।

সম্প্রতি আইএস প্রসঙ্গে বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশিত একটি সংবাদকে কেন্দ্র করে সারা পৃথিবীতে নতুনভাবে জঙ্গিবাদের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। খবরে বলা হয়, “২০২০ সালের মধ্যে ভারতসহ বিশ্বের বিশাল অংশ দখলে নেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামিক স্টেট (আইএস)। পরিকল্পিত নিয়ন্ত্রণভূমির একটি মানচিত্রও প্রকাশ করেছে এই জঙ্গি গোষ্ঠী। বিবিসির সাংবাদিক এন্ড্রু হোসকেনের ‘এ¤পায়ার অব ফেয়ার: ইনসাইড দ্য ইসলামিক স্টেট’ শীর্ষক নতুন একটি বইয়ে এটি প্রকাশ করা হয়েছে। মানচিত্রে দেখা গেছে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আইএস ভারতীয় উপমহাদেশের অধিকাংশ এলাকা দখলে নেওয়াসহ মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা এবং ইউরোপের বেশ কিছু স্থানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেছে।” এই সংবাদ প্রকাশের পর থেকে এশিয়ার দেশগুলোতে জঙ্গি হামলার আতঙ্ক ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আইএস এর পরিকল্পনাকে অনেকে উচ্ছাকাক্সক্ষা বলে মনে করলেও এর বাস্তব দিকটি বিচার করলে শঙ্কিত না হয়ে উপায় নেই। গোষ্ঠীটি যাত্রা শুরু করার পর থেকে একবারও পেছনে ফিরে তাকায় নি। আন্তর্জাতিক পরাশক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর জোট গঠন, হুমকি-ধামকি, এমনকি ব্যাপক বিমান হামলাও তাদেরকে পিছু হঠাতে পারে নি। তারা কেবল একটি শত্র“র বিরুদ্ধে লড়ছে না। অসীম মানসিক শক্তির পরিচয় দিয়ে তারা একইসময়ে এবং একইসাথে আসাদ বাহিনী, ফ্রি সিরিয়ান আর্মি, ইরাকি সেনাবাহিনী এবং কুর্দী যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে। সাধ্যমতো প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছে পশ্চিমা বিমান হামলাও। যতই দিন যাচ্ছে তাদের শক্তি-সক্ষমতা বাড়ছে বৈ কমছে না। কয়েকটি কারণে তাদের অগ্রাভিযান বন্ধ করা যাচ্ছে না, বরং দিনকে দিন তারা সুবিধাজনক অবস্থানে চলে যাচ্ছে। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- 

ক. আইএস এর মূল শক্তি ইসলামের জেহাদী চেতনা। এই চেতনাকে কাজে লাগিয়ে তারা এতদূর এসেছে। যেইমাত্র রাষ্ট্রগঠন করার মতো একটি ভূখণ্ড তাদের হাতে এসেছে, তারা বিন্দুমাত্র বিলম্ব না করে রাষ্ট্রীয় কাঠামো দাঁড় করিয়ে ফেলেছে, এবং অবশ্যই তা কোর’আন-হাদিসের আলোকে। ফলে সমগ্র বিশ্বের জেহাদী চেতনাধারী মানুষের কাছে আইএস প্রকৃতপক্ষেই ইসলামিক স্টেট হিসেবে বিবেচিত হতে শুরু করেছে। আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা সব জায়গা থেকে জেহাদীরা ইরাক-সিরিয়ার পানে ছুটছে। বর্তমানে আইএস এর হয়ে লড়াই করছে প্রায় ৫০ হাজার যোদ্ধা, যাদের মধ্যে প্রায় ২৫ হাজারই বিদেশী। 

খ. মুসলিম দুনিয়ায় পবিত্র কোর’আনের পরেই যে গ্রন্থ অবশ্যই মান্য বলে বিবেচিত হয় তা হাদীস। সেই হাদিস দেখে দেখে, শেষ যামানা সম্পর্কে রসুলের ভবিষ্যদ্বাণীর সাথে আইএস যোদ্ধারা নিজেদের কর্মকাণ্ডকে এমনভাবে মিলিয়ে মিলিয়ে পদক্ষেপ ফেলছে যাতে মুসলিম মাত্রই বিভ্রান্ত হবে। তারা তাদের খলিফার নামটি পর্যন্ত মনোনীত করেছে হাদীস মিলিয়ে। ফল হয়েছে যে, সারা বিশ্বের ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষ আইএসকেই প্রকৃত মুসলিম বলে মনে করছে এবং, পৃথিবীব্যাপী ইসলাম ও মুসলিমদের দুর্দিনে আইএস’কে তাদের পরিত্রাণদাতা বলে জ্ঞান করছে। এ বিশ্বাস ধারণ করে অনেকেই জঙ্গিবাদের দিকে ধাবিত হচ্ছে, যা সংগঠনটির ক্রমাগত শক্তিবৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

গ. পরিসংখ্যান বলছে- অতীতে কোনো জঙ্গি বা সন্ত্রাসীগোষ্ঠী এতটা অর্থের মালিক হতে পারে নি, যতটা অর্থ-সম্পদ এখন পর্যন্ত আইএস এর হাতে এসেছে। সংগঠনটির দুই বিলিয়ন ডলার অর্থসম্পদ আছে। ইরাক-সিরিয়ার বিশাল তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল তাদের নিয়ন্ত্রণে। এত অর্থনৈতিক সাপোর্ট এর আগে কোনো জঙ্গি সংগঠন লাভ করে নি। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী, জেহাদী চেতনায় উজ্জীবিত, কোর’আন-হাদিসের আলোকে পরিচালিত এমন একটি ভূখণ্ড সারা পৃথিবীর জেহাদী চেতনাধারী মানুষকে আকর্ষণ করবে- এতে অবাক হবার কিছু নেই। 

ঘ. আইএস যে কল্পিত নিয়ন্ত্রণরেখা প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, তাদের লক্ষ্য তারা নির্দিষ্ট করেছে মুসলিম দেশগুলোর দিকে। পাশ্চাত্য দেশগুলো সম্পর্কে আল কায়েদা বা তালেবানের মতো হিংসাত্মক বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে পশ্চিমাদের খেপিয়ে তোলার ইচ্ছা আইএস- এর এখনও নেই। সম্ভবত তারা অতীতের ইরাক-আফগান প্রেক্ষপট থেকে শিক্ষাগ্রহণ করেই এবারের কর্মপন্থা গ্রহণ করেছে। আর এটাও ঠিক যে, আইএস যে হারে শক্তি সঞ্চয় করছে, তা যদি আর কয়েক বছর অব্যাহত থাকে তবে তাদের উত্থান ঠেকানোর সক্ষমতা আরব-অনারব নির্বিশেষে কোনো মুসলিম দেশেরই থাকবে না। 

এমতাবস্থায়, নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবার আগেই আইএস এর মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিতে পারে একমাত্র পশ্চিমা শক্তিই। কিন্তু তারা এ ব্যাপারে কতটা আগ্রহী তাতে সংশয়ের অবকাশ আছে। কারণ এখন পর্যন্ত যে চিত্র আমরা দেখে এসেছি তার উপর নির্ভর করে বলা যায়, আইএস থেকে পশ্চিমাদের কোনো ক্ষতি তো নেই-ই, বরং উপকার হয়েছে, হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। আইএস যতই শক্তি-সামর্থ্য অর্জন করবে, নতুন নতুন ভূ-খণ্ড দখল করবে ততই যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের উন্নত দেশগুলোর অস্ত্রব্যবসা জমজমাট হবে। ইতোমধ্যেই ‘আইএস’ এর ভয় দেখিয়ে আরব দেশগুলোতে অস্ত্রবিক্রির রমরমা ব্যবসা শুরু হয়েছে। সুতরাং আইএস আমেরিকার শত্র“ বটে, তবে প্রয়োজনীয় শত্র“ (Useful Enemy)। আল কায়েদা বা তালেবান যতদিন সেই প্রয়োজনীয় শত্র“র ভূমিকা পালন করে এসেছে ততদিন আইএস এর দরকার ছিল না, তাই আইএস সৃষ্টি হয় নি, এখন তালেবান-আল কায়েদা ছিবড়ে হয়ে গেছে, দরকার নতুন শত্র“, নতুন আতঙ্ক, তাই আইএস সৃষ্টি হলো। আইএসকে যারা নিজেরাই গর্ত থেকে টেনে বার করল, তারা শতভাগ সুবিধা আদায় না করেই কোন কারণে তাকে প্রতিরোধে নামবে? সুতরাং পশ্চিমারা আইএস এর অগ্রযাত্রায় কার্যত কোনো বাধাই সৃষ্টি করবে না। অপরদিকে মুসলিম দেশগুলো আর কিছুদিন গেলে শত ইচ্ছা থাকলেও এই দৈত্যকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। অচীরেই হয়তো সাম্রাজ্যবাদ তথা স্বার্থবাদের লীলাভূমি সিরিয়া-ইরাকের রক্তরঞ্জিত মাটি থেকে উদ্গত এই বিষবৃক্ষের বিষফল ভোগ করতে হবে সমগ্র পৃথিবীকে। 

আইএস-এর এই অগ্রযাত্রা নিয়ে ১৫ কোটি মুসলমানের দেশ বাংলাদেশেরও অনেক ভাবার আছে। এ দেশের প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ মুসলমান। তারা আল্লাহ, আল্লাহর রসুল ও ইসলামকে প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসে। এ অঞ্চলের মানুষের ধর্মের প্রতি টান হাজার বছর পুরানো। এটা তাদের রক্ত-মাংসের সাথে মিশে আছে। একে জীবন থেকে কোনোভাবেই আলাদা করা সম্ভব নয়। এই শুভ চেতনাই আজ বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের দেশের জন্য। আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর সাথে এ দেশের বেশ কিছু জঙ্গি সংগঠনের আদর্শ ও কর্মপদ্ধতিগত সমন্বয় রয়েছে- এ অভিযোগ বহু পুরনো। আইএস যোদ্ধারা এখন কার্যত সারা বিশ্বের জঙ্গি ও জঙ্গিসমর্থকদের আদর্শিক ‘হিরো’তে পরিণত হয়েছে। একবার তাদের বিজয় শুরু হয়ে গেলে তার ঢেউ এসে লাগবে সুদূর বাংলার মাটিতেও। সরাসরি আইএসকে বাংলাদেশে আসতে হবে না। জেহাদী তামান্না বাংলাদেশের মানুষের মধ্যেও আছে। আইএস এর অনুপ্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে এখানকার জেহাদী চেতনা লালনকারীরাই বাংলাদেশের নিরাপত্তায় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমনিতেই বিভিন্ন সময়ে উন্মাদনা সৃষ্টি করে কথিত জেহাদী তামান্না সৃষ্টি করা হয় বাংলাদেশে যা বার বার আমরা দেখেছি। ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতিক উদ্দেশ্য হাসিল করার ঘটনা এ দেশে অহরহ ঘটে। এছাড়াও রয়েছে মানুষের ধর্মীয় সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিগত অর্থোপার্জনের দৃষ্টান্ত। এক কথায় আমাদের দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের ঈমানকে হাইজ্যাক করে থাকে এক শ্রেণির স্বার্থবাদী। তার উপর এই জঙ্গিবাদের অশুভ ছায়া। সরকার শক্তি প্রয়োগ করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে তাদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে। অতি শক্তি সম্পন্ন গ্যাস বোতলে ঢুকিয়ে দিয়ে যেমন ছিপি দিয়ে আটকিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়, ঠিক সেরকম করা হয়েছে। ফলে যতটুকু উপশম হওয়ার হয়েছে, কিন্তু নির্মূল হয়ে যায় নি। ঝুঁকি থেকেই গেছে। ধর্মের বিবিধ অপব্যবহারের এই সংস্কৃতি এবং আন্তর্জাতিক গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করে এ কথা বলায় দোষের কিছু থাকে না যে, বাংলাদেশ ভয়াবহ বিপদের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। সাবধান! মাথার উপর চক্কর দিচ্ছে চিল! - See more at: http://www.istishon.com/?q=node/17312#sthash.mhiRCJYd.dpuf

No comments:

Post a Comment