
হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভাই-বোনদেরকে দেশের সঙ্কটময় পরিস্থিতিকে উপলব্ধি করতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে যে, কোনো দেশি-বিদেশি শক্তি যেন তাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খেতে না পারে। দেশটা আমাদের সকলের, সঙ্কট আমাদের সকলের, সমাধানও আমাদেরকে সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে করতে হবে। বৈদেশিক শক্তি সমাধান করবে না, তারা সমস্যাকে জিইয়ে রেখে স্বার্থ হাসিল করবে।
.
যারা ভাবছেন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ভারতের সীমান্ত খুলে দেওয়া হবে, যাওয়ার একটা উপায় অন্তত আছে, তারা ভুলের মধ্যে আছেন। প্রথমত, নিজ দেশকে বিপদে ফেলে রেখে প্রাণ হাতে করে বিদেশে পাড়ি জমানো কাপুরুষতা এবং দেশমাতৃকার সাথে প্রতারণাও বটে। এটা কারও কাম্য হওয়া উচিত নয়।
.
এই দেশে আপনাদের জন্ম। এই দেশের মাটিতে ফসল ফলিয়ে আপনারা জীবিকা নির্বাহ করেছেন, পদ্মা-মেঘনা-যমুনায় সিক্ত হয়েছেন। এ দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটির সাথে জড়িয়ে আছে আপনাদের হাজারও স্মৃতিকথা। এটা আপনাদের দেশ।
.
মানুষের স্রষ্টা যিনি, ধরণীর স্রষ্টাও তিনি। ধরণীর উপর প্রত্যেক মানুষের সৃষ্টিগত অধিকার আছে। বংশপরম্পরায় যেদেশে বসবাস করেছেন, যে মাটিতে আপনাদের পূর্বপুরুষের অস্থিমজ্জা মিশে আছে, জন্মের পর থেকে যে আলো-বাতাসে বড় হয়েছেন, সেই দেশ কেন ছাড়বেন? স্মৃতিবিজড়িত মাতৃভূমি ছেড়ে কেন অন্য কোথাও আশ্রিত জীবন-যাপন করবেন?
.
দ্বিতীয়ত, একটা কথা মনে রাখতে হবে, স্বদেশের ভূমিতে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকা আর পার্শ্ববর্তী দেশে শরণার্থী হিসেবে বেঁচে থাকার মধ্যে কত ফারাক তা যারা গেছে তারাই জানে। ওই আশ্রিতের জীবন কামনা না করে নিজ দেশকেই ঐক্যের শক্তিতে শক্তিশালী করুন। আমরা যারা শান্তি চাই, তারা আসুন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ন্যায় ও সত্যের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যাবতীয় অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই।
.
কখনও মনে করবেন না আপনারা একা। এখনও এই দেশে অনেক মানুষ আছে, মুসলমান ঘরের অনেক সন্তান আছে, যারা আপনাদের নিরাপত্তার জন্য নিজের জীবন দিতে প্রস্তুত।
.
প্রকাশিতব্য লেখা থেকে।
.
যারা ভাবছেন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ভারতের সীমান্ত খুলে দেওয়া হবে, যাওয়ার একটা উপায় অন্তত আছে, তারা ভুলের মধ্যে আছেন। প্রথমত, নিজ দেশকে বিপদে ফেলে রেখে প্রাণ হাতে করে বিদেশে পাড়ি জমানো কাপুরুষতা এবং দেশমাতৃকার সাথে প্রতারণাও বটে। এটা কারও কাম্য হওয়া উচিত নয়।
.
এই দেশে আপনাদের জন্ম। এই দেশের মাটিতে ফসল ফলিয়ে আপনারা জীবিকা নির্বাহ করেছেন, পদ্মা-মেঘনা-যমুনায় সিক্ত হয়েছেন। এ দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটির সাথে জড়িয়ে আছে আপনাদের হাজারও স্মৃতিকথা। এটা আপনাদের দেশ।
.
মানুষের স্রষ্টা যিনি, ধরণীর স্রষ্টাও তিনি। ধরণীর উপর প্রত্যেক মানুষের সৃষ্টিগত অধিকার আছে। বংশপরম্পরায় যেদেশে বসবাস করেছেন, যে মাটিতে আপনাদের পূর্বপুরুষের অস্থিমজ্জা মিশে আছে, জন্মের পর থেকে যে আলো-বাতাসে বড় হয়েছেন, সেই দেশ কেন ছাড়বেন? স্মৃতিবিজড়িত মাতৃভূমি ছেড়ে কেন অন্য কোথাও আশ্রিত জীবন-যাপন করবেন?
.
দ্বিতীয়ত, একটা কথা মনে রাখতে হবে, স্বদেশের ভূমিতে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকা আর পার্শ্ববর্তী দেশে শরণার্থী হিসেবে বেঁচে থাকার মধ্যে কত ফারাক তা যারা গেছে তারাই জানে। ওই আশ্রিতের জীবন কামনা না করে নিজ দেশকেই ঐক্যের শক্তিতে শক্তিশালী করুন। আমরা যারা শান্তি চাই, তারা আসুন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ন্যায় ও সত্যের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যাবতীয় অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই।
.
কখনও মনে করবেন না আপনারা একা। এখনও এই দেশে অনেক মানুষ আছে, মুসলমান ঘরের অনেক সন্তান আছে, যারা আপনাদের নিরাপত্তার জন্য নিজের জীবন দিতে প্রস্তুত।
.
প্রকাশিতব্য লেখা থেকে।
No comments:
Post a Comment