নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত, কেতালসহ ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ বিধানগুলো নাজেল হবার সাথে জড়িয়ে আছে বিশেষ বিশেষ প্রেক্ষাপট। মুসলমানরা যখন যে বিধান পালন করার উপযোগী পরিবেশ পেয়েছে তখনই কেবল সেই বিধান কার্যকর করার নির্দেশ এসেছে। . মক্কায় অবতীর্ণ কোর'আনের আয়াতগুলোতে প্রাধান্য পেয়েছে কলেমা, সবরের তাৎপর্য, জান্নাত-জাহান্নামের বিবরণ, মুশরিকদের বিবিধ প্রশ্নের উত্তর ইত্যাদি। আর মদীনায় অবতীর্ণ আয়াতে অগ্রাধিকার পেয়েছে ইসলামের সমষ্টিগত বিধি-বিধান, রাষ্ট্রীয় নীতিমালা, কেতালের নির্দেশনা ও নিয়ম-নীতি ইত্যাদি। মক্কায় অবতীর্ণ আয়াত ও মদীনায় অবতীর্ণ আয়াতের এই ভিন্নতার কারণ হচ্ছে- প্রেক্ষাপট চেঞ্জ হয়ে যাওয়া। . মক্কায় নামাজ বাধ্যতামূলক ছিল না। কারণ সেখানকার পরিবেশ-পরিস্থিতি মুসলমানদের অনুকূলে ছিল না। মুসলমানরা প্রকাশ্যে এক জায়গায় মিলিত হয়ে দৈনিক পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে- এমনটা হওয়া অসম্ভব ছিল। একইভাবে যাকাতের বিধান ছিল না, হজ্বও ফরদ ছিল না। এমনকি মুসলমানদেরকে ধরে নিয়ে গিয়ে প্রকাশ্যে হত্যা করা হলেও মুসলমানরা কেতাল করার অনুমতি পেত না। কারণ একটাই- এসব বিধান বাস্তবায়ন করার জন্য যে প্রেক্ষাপট দরকার তা তখনও সৃষ্টি হয় নি, যে পূর্বশর্ত বাস্তবায়িত হওয়া দরকার তা বাস্তবায়িত হয় নি। ব্যক্তি কখনও যুদ্ধের বৈধতা পায় না, যুদ্ধ করতে রাষ্ট্রশক্তি লাগবে, যেটা মক্কার মুসলমানদের ছিল না। . তারপর যখন মুসলমানরা মদীনায় হিজরত করল, একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে উঠল, জীবনযাত্রা নিরাপদ হলো, তখন নতুন প্রেক্ষাপটে নতুন বিধি-বিধান আসতে লাগল। নামাজ-রোজা-যাকাত ফরদ হলো, ঈদের নামাজ পড়ার বিধান এলো, কিতালের নির্দেশ এলো। . মদীনার জীবনে আল্লাহ মুসলমানদেরকে কিতাল করার জন্য বহু আয়াতে উৎসাহ দিয়েছেন, এমনকি কিতাল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে ভয়াবহ শাস্তির সতর্কবাণীও উচ্চারণ করেছেন। অবস্থা এমন দাড়িয়েছে যেন, একজন মুসলমান কিতালে যাবে না এটা যেন অবিশ্বাস্য ব্যাপার। হাদীসে আছে- যে ব্যক্তি কোনোদিন জিহাদ করল না, জিহাদ করার সংকল্পও করল না, সে মুনাফিকের একটি শাখায় মৃত্যুবরণ করল। অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে মদীনা জীবনে জিহাদ-কিতালকে কতখানি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। . অথচ এই মহাগুরুত্বপূর্ণ কিতালের বিধানটি মক্কার জীবনে ছিল সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক ও অনৈসলামিক। সেখানে কেউ কেতাল করলে তা নিঃসন্দেহে আল্লাহ-রসুলের আনুগত্যের লঙ্ঘন হতো। সেটা হতো আল্লাহর দৃষ্টিতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অর্থাৎ মক্কায় যা ছিল কার্যত হারাম, মদীনায় তা কেবল হালালই হলো না, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য হয়ে গেল বাধ্যতামূলক, আল্লাহর পথে জিহাদ করে শহীদ হওয়া ব্যক্তির সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা ঘোষিত হলো। . এইযে প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের সাথে সাথে একটি বিধানের এতখানি পরিবর্তন ঘটে যাওয়া, নিষেধের আদেশে পরিণত হওয়া কিংবা আদেশের নিষেধে পরিণত হওয়া, এটার গুরুত্ব অনুধাবন করতে আমরা ব্যর্থ হই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। যুগের প্রেক্ষাপট, যেটা আল্লাহর রসুলের সময় প্রধান বিবেচ্য বিষয় ছিল, আমরা দেখি সেটা বর্তমানে কার্যত অস্বীকার করে বসা হয়। . কোর'আন একদিনে হঠাৎ করে নাজেল হয়ে যায় নি, কোর'আনের প্রতিটি আয়াতের সাথে জড়িয়ে আছে কোনো না কোনো ঘটনা, পরিবেশ, পরিস্থিতি বা প্রেক্ষাপট। দীর্ঘ ২৩ বছরের বিভিন্ন ঘটনা পরম্পরা ও নতুন নতুন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অবতীর্ণ হওয়া আয়াতসমূহের সমষ্টি হচ্ছে সমগ্র কোর'আন। সুতরাং বর্তমানে কোর'আনের শাসন কায়েম করতে চান যারা, তাদেরকেও বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে এগোতে হবে। উদাহরণ দিচ্ছি। . কোর'আনে যুদ্ধের নির্দেশ আছে, এটা অস্বীকার করছি না। অন্তত ছয়শ আয়াত আছে সরাসরি যুদ্ধ সংক্রান্ত। কাজেই ওটা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু বিবেচনা করতে হবে যে, কোর'আনের ওই যুদ্ধের নির্দেশনা কোন প্রেক্ষাপটে নাযেল হয়েছিল, কাদের জন্য নাযেল হয়েছিল, কার বিরুদ্ধে যুদ্ধের নির্দেশনা এসেছিল, কেন যুদ্ধ ফরজ করা হয়েছিল? অতঃপর বর্তমানে সেই বিধানকে বাস্তবায়ন করতে চাইলে আপনাকে দেখতে হবে ওই প্রেক্ষাপটের সাথে বর্তমানের প্রেক্ষাপট কতখানি সামঞ্জস্যপূর্ণ। . কোর'আনের যুদ্ধের নির্দেশনা আসার পর রসুল রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন, আর মুসলমানরা রাষ্ট্রের সেনাবাহিনী হিসেবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। যুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল ফেতনা নির্মূল করা। কোর'আনের বিধান শাশ্বত, কেয়ামত পর্যন্ত বলবৎ থাকবে, সুতরাং যুদ্ধের ওই নির্দেশনা আজও আছে কোর'আনে। কোর'আন খুললেই স্পষ্ট নির্দেশনা পাওয়া যায়- যুদ্ধ কর যতক্ষণ না ফেতনা পুরোপুরি নির্মূল হয় (সুরা বাকারা ১৯৩)। ফেতনা কি নির্মূল হয়ে গেছে? না, হয় নি। সুতরাং যুদ্ধ এখনও ফরজ। . কিন্তু আপনি যেহেতু রাষ্ট্রপ্রধান নন, সুতরাং কেতালের ঘোষণা দেওয়ার অধিকার আপনার নেই। এই আয়াত আপনার জন্য নয়, যিনি রাষ্ট্র চালাচ্ছেন কোর'আনের এই বিধান তার জন্য। তিনি যদি এই বিধান বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেন, আপনাকে রাষ্ট্র থেকে যুদ্ধের অনুমতি প্রদান করা হয় আপনি তখন কেতাল করবেন, তখন আপনি হবেন বাচলে গাজী মরলে শহীদ। আর যদি আপনি প্রেক্ষাপটকে বিবেচনা না করে, রাষ্ট্রকে উপেক্ষা করে ব্যক্তিগতভাবে বা দলগতভাবে আল্লাহর এই বিধান (কিতাল) বাস্তবায়নে নিযুক্ত হন তাহলে আপনি নিজেই ফেতনা ছড়ানোর অপরাধে অপরাধী হবেন। তখন বাকারার ১৯৩ আয়াত মোতাবেক- আপনাকে নির্মূল করাই হবে রাষ্ট্রের কেতাল। - See more at: http://www.istishon.com/?q=node/20542#sthash.GXD0xUfh.dpuf
Labels
- ধর্মবিদ্বেষ (17)
- সমাজ (16)
- রাষ্ট্র (14)
- ইসলামের ইতিহাস (11)
- জিহাদ (11)
- ধর্মবিশ্বাসের অপব্যবহার (11)
- জঙ্গিবাদ (10)
- সংলাপ (9)
- সাম্প্রদায়িকতা (9)
- হিজবুত তাওহীদ (8)
- ধর্মান্ধতা (7)
- আন্তর্জাতিক (6)
- রাজনীতি (6)
- মানবতা (4)
- গল্প (1)
Sunday, July 10, 2016
ইসলামী বিধান- কখন কোথায় কীভাবে কেন?
নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত, কেতালসহ ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ বিধানগুলো নাজেল হবার সাথে জড়িয়ে আছে বিশেষ বিশেষ প্রেক্ষাপট। মুসলমানরা যখন যে বিধান পালন করার উপযোগী পরিবেশ পেয়েছে তখনই কেবল সেই বিধান কার্যকর করার নির্দেশ এসেছে। . মক্কায় অবতীর্ণ কোর'আনের আয়াতগুলোতে প্রাধান্য পেয়েছে কলেমা, সবরের তাৎপর্য, জান্নাত-জাহান্নামের বিবরণ, মুশরিকদের বিবিধ প্রশ্নের উত্তর ইত্যাদি। আর মদীনায় অবতীর্ণ আয়াতে অগ্রাধিকার পেয়েছে ইসলামের সমষ্টিগত বিধি-বিধান, রাষ্ট্রীয় নীতিমালা, কেতালের নির্দেশনা ও নিয়ম-নীতি ইত্যাদি। মক্কায় অবতীর্ণ আয়াত ও মদীনায় অবতীর্ণ আয়াতের এই ভিন্নতার কারণ হচ্ছে- প্রেক্ষাপট চেঞ্জ হয়ে যাওয়া। . মক্কায় নামাজ বাধ্যতামূলক ছিল না। কারণ সেখানকার পরিবেশ-পরিস্থিতি মুসলমানদের অনুকূলে ছিল না। মুসলমানরা প্রকাশ্যে এক জায়গায় মিলিত হয়ে দৈনিক পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে- এমনটা হওয়া অসম্ভব ছিল। একইভাবে যাকাতের বিধান ছিল না, হজ্বও ফরদ ছিল না। এমনকি মুসলমানদেরকে ধরে নিয়ে গিয়ে প্রকাশ্যে হত্যা করা হলেও মুসলমানরা কেতাল করার অনুমতি পেত না। কারণ একটাই- এসব বিধান বাস্তবায়ন করার জন্য যে প্রেক্ষাপট দরকার তা তখনও সৃষ্টি হয় নি, যে পূর্বশর্ত বাস্তবায়িত হওয়া দরকার তা বাস্তবায়িত হয় নি। ব্যক্তি কখনও যুদ্ধের বৈধতা পায় না, যুদ্ধ করতে রাষ্ট্রশক্তি লাগবে, যেটা মক্কার মুসলমানদের ছিল না। . তারপর যখন মুসলমানরা মদীনায় হিজরত করল, একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে উঠল, জীবনযাত্রা নিরাপদ হলো, তখন নতুন প্রেক্ষাপটে নতুন বিধি-বিধান আসতে লাগল। নামাজ-রোজা-যাকাত ফরদ হলো, ঈদের নামাজ পড়ার বিধান এলো, কিতালের নির্দেশ এলো। . মদীনার জীবনে আল্লাহ মুসলমানদেরকে কিতাল করার জন্য বহু আয়াতে উৎসাহ দিয়েছেন, এমনকি কিতাল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে ভয়াবহ শাস্তির সতর্কবাণীও উচ্চারণ করেছেন। অবস্থা এমন দাড়িয়েছে যেন, একজন মুসলমান কিতালে যাবে না এটা যেন অবিশ্বাস্য ব্যাপার। হাদীসে আছে- যে ব্যক্তি কোনোদিন জিহাদ করল না, জিহাদ করার সংকল্পও করল না, সে মুনাফিকের একটি শাখায় মৃত্যুবরণ করল। অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে মদীনা জীবনে জিহাদ-কিতালকে কতখানি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। . অথচ এই মহাগুরুত্বপূর্ণ কিতালের বিধানটি মক্কার জীবনে ছিল সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক ও অনৈসলামিক। সেখানে কেউ কেতাল করলে তা নিঃসন্দেহে আল্লাহ-রসুলের আনুগত্যের লঙ্ঘন হতো। সেটা হতো আল্লাহর দৃষ্টিতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অর্থাৎ মক্কায় যা ছিল কার্যত হারাম, মদীনায় তা কেবল হালালই হলো না, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য হয়ে গেল বাধ্যতামূলক, আল্লাহর পথে জিহাদ করে শহীদ হওয়া ব্যক্তির সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা ঘোষিত হলো। . এইযে প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের সাথে সাথে একটি বিধানের এতখানি পরিবর্তন ঘটে যাওয়া, নিষেধের আদেশে পরিণত হওয়া কিংবা আদেশের নিষেধে পরিণত হওয়া, এটার গুরুত্ব অনুধাবন করতে আমরা ব্যর্থ হই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। যুগের প্রেক্ষাপট, যেটা আল্লাহর রসুলের সময় প্রধান বিবেচ্য বিষয় ছিল, আমরা দেখি সেটা বর্তমানে কার্যত অস্বীকার করে বসা হয়। . কোর'আন একদিনে হঠাৎ করে নাজেল হয়ে যায় নি, কোর'আনের প্রতিটি আয়াতের সাথে জড়িয়ে আছে কোনো না কোনো ঘটনা, পরিবেশ, পরিস্থিতি বা প্রেক্ষাপট। দীর্ঘ ২৩ বছরের বিভিন্ন ঘটনা পরম্পরা ও নতুন নতুন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অবতীর্ণ হওয়া আয়াতসমূহের সমষ্টি হচ্ছে সমগ্র কোর'আন। সুতরাং বর্তমানে কোর'আনের শাসন কায়েম করতে চান যারা, তাদেরকেও বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে এগোতে হবে। উদাহরণ দিচ্ছি। . কোর'আনে যুদ্ধের নির্দেশ আছে, এটা অস্বীকার করছি না। অন্তত ছয়শ আয়াত আছে সরাসরি যুদ্ধ সংক্রান্ত। কাজেই ওটা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু বিবেচনা করতে হবে যে, কোর'আনের ওই যুদ্ধের নির্দেশনা কোন প্রেক্ষাপটে নাযেল হয়েছিল, কাদের জন্য নাযেল হয়েছিল, কার বিরুদ্ধে যুদ্ধের নির্দেশনা এসেছিল, কেন যুদ্ধ ফরজ করা হয়েছিল? অতঃপর বর্তমানে সেই বিধানকে বাস্তবায়ন করতে চাইলে আপনাকে দেখতে হবে ওই প্রেক্ষাপটের সাথে বর্তমানের প্রেক্ষাপট কতখানি সামঞ্জস্যপূর্ণ। . কোর'আনের যুদ্ধের নির্দেশনা আসার পর রসুল রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন, আর মুসলমানরা রাষ্ট্রের সেনাবাহিনী হিসেবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। যুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল ফেতনা নির্মূল করা। কোর'আনের বিধান শাশ্বত, কেয়ামত পর্যন্ত বলবৎ থাকবে, সুতরাং যুদ্ধের ওই নির্দেশনা আজও আছে কোর'আনে। কোর'আন খুললেই স্পষ্ট নির্দেশনা পাওয়া যায়- যুদ্ধ কর যতক্ষণ না ফেতনা পুরোপুরি নির্মূল হয় (সুরা বাকারা ১৯৩)। ফেতনা কি নির্মূল হয়ে গেছে? না, হয় নি। সুতরাং যুদ্ধ এখনও ফরজ। . কিন্তু আপনি যেহেতু রাষ্ট্রপ্রধান নন, সুতরাং কেতালের ঘোষণা দেওয়ার অধিকার আপনার নেই। এই আয়াত আপনার জন্য নয়, যিনি রাষ্ট্র চালাচ্ছেন কোর'আনের এই বিধান তার জন্য। তিনি যদি এই বিধান বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেন, আপনাকে রাষ্ট্র থেকে যুদ্ধের অনুমতি প্রদান করা হয় আপনি তখন কেতাল করবেন, তখন আপনি হবেন বাচলে গাজী মরলে শহীদ। আর যদি আপনি প্রেক্ষাপটকে বিবেচনা না করে, রাষ্ট্রকে উপেক্ষা করে ব্যক্তিগতভাবে বা দলগতভাবে আল্লাহর এই বিধান (কিতাল) বাস্তবায়নে নিযুক্ত হন তাহলে আপনি নিজেই ফেতনা ছড়ানোর অপরাধে অপরাধী হবেন। তখন বাকারার ১৯৩ আয়াত মোতাবেক- আপনাকে নির্মূল করাই হবে রাষ্ট্রের কেতাল। - See more at: http://www.istishon.com/?q=node/20542#sthash.GXD0xUfh.dpuf
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
-
রসুলাল্লাহর সময় নারীরা কেমন ছিলেন? রসুলাল্লাহর সময় নারীরা মহানবীর সামনা সামনি বসে আলোচনা শুনতেন, শিক্ষাগ্রহণ করতেন, মহানবীকে প্রশ্ন করে ...
-
মহান আল্লাহ সুরা ইয়াসীনের ২১ নং আয়াতে বোলেছেন, “তোমরা তাদের এত্তেবা (আনুগত্য, পেছনে দাঁড়ানো, অনুসরণ) কোরো, যারা তোমাদের কাছে বিনিময় চায...
-
একদিন রসুল (সা.) ক্বাবা ঘরের দেওয়ালে হেলান দিয়ে বসে আছেন। মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাফেরদের নির্যাতন-অত্যাচার, যুলুম তখন তুঙ্গে। এমতাবস্থায় এ...
No comments:
Post a Comment