বাংলাদেশে আইএস আছে। সাংগঠনিকভাবেই আছে। বাংলাদেশে আল কায়েদা আছে। সাংগঠনিকভাবেই আছে। ইহুদি রাষ্ট্র ইজরাইল বাংলাদেশকে নিয়ে নতুনভাবে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে। সরকার জানে বাংলাদেশে আইএস-আল কায়েদা উভয়েই সক্রিয়, কিন্তু বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে সত্যকে স্বীকার করছে না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জঙ্গি হামলা প্রতিরোধে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে এবং ব্যর্থ হওয়াই স্বাভাবিক। এ ধরনের গুপ্তহত্যা প্রতিরোধের সামর্থ্য আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো কালেই ছিল না। ধর্মভিত্তিক রাজনীতিক দল এবং কথিত ইসলামের হেফাজতকারীরা চলমান নাস্তিক, সমকামী, ইসলামবিদ্বেষী, হিন্দু ও খ্রিস্টান হত্যাকে নৈতিকভাবে সমর্থন করছে। গুপ্তহত্যাকারী জঙ্গিরা এসব হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে তার দুইটি কারণ। এক- তাদের মূল অংশটি মধ্যপ্রাচ্যে কথিত কুফ্ফারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে কুফ্ফার হত্যা করছে। সুতরাং তারাও নিজ দেশে কুফ্ফার হত্যা করে নিজেদের অ্যাক্টিভিটি জানান দিচ্ছে। (জেএমবি, আইএস) দুই- এসব গুপ্তহত্যার মাধ্যমে ধর্মভীরু (পড়ুন ধর্মান্ধ) পাবলিকের মধ্যে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করে নিচ্ছে তারা। এতে তারা সফল হয়েছে। দিন দিন গুপ্তহত্যাকারীদের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। তারা কার্যত জনবিচ্ছিন্ন সরকারের বিরোধী দলে পরিণত হয়েছে। (আনসার আল ইসলাম, আল কায়েদা) বিএনপি-জামাত জোট চলমান গুপ্তহত্যাকে চরমভাবে সমর্থন করছে। অনবরত মার খেয়ে আসা এই জোটটি এবার কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছে। সরকার বলতে চাইছে এসব গুপ্তহত্যা বিএনপি-জামাতের কাজ, কিন্তু তা বিশ্বাস করছে খুব কম জনই। হিন্দু পুরোহিত ও আশ্রমের সেবক হত্যার ঘটনায় ভারতে ব্যাপক নাড়া পড়েছে। ভারত বিষয়টিকে ভারতের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও ধর্মীয় মর্যাদার প্রতি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছে। এর আগে নারায়ণগঞ্জে হিন্দু শিক্ষককে অপমান করার ঘটনাকেও ভারত সিরিয়াসলি নিয়েছে। পুলিশ সাঁড়াশী অভিযানের নামে বিভিন্ন মামলার জামিনপ্রাপ্ত আসামী ও পলাতক আসামীদের ধরে ঈদের আগে একটা জমজমাট গ্রেফতার বাণিজ্যের বন্দোবস্ত করেছে। হাতের কাছে পাওয়া গেলে জঙ্গিদেরকেও গ্রেফতার করা হচ্ছে। বন্দুকযুদ্ধের মাধ্যমে চলেছে শ্রেণিশত্রু খতম। চিন্তার বিষয় হলো- দেশের একটি বিরাট সংখ্যক মানুষ জঙ্গিবাদের উত্থানকে ইসলামের উত্থান মনে করছে আর জঙ্গিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ‘অল আউট ওয়ার’কে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জ্ঞান করছে। এতে সরকারের যা লাভ হচ্ছে তার চেয়ে বেশি লাভ হচ্ছে জঙ্গিদের। জঙ্গিদেরকে ইসলামের প্রতিনিধি মনে করা লোক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে আছে, প্রশাসনে আছে, মিডিয়ায় আছে, অর্থবিভাগে আছে, বড় বড় বিদ্যাপীঠগুলোতেও আছে। আরও আছে সাধারণ ধর্মভীরু মানুষ, ইসলামের হুজুগ তুলে যাদের দিয়ে সব কাজ করানো যায়। - See more at: http://www.istishon.com/?q=node/21238#sthash.UZsU8kqH.dpuf
Labels
- ধর্মবিদ্বেষ (17)
- সমাজ (16)
- রাষ্ট্র (14)
- ইসলামের ইতিহাস (11)
- জিহাদ (11)
- ধর্মবিশ্বাসের অপব্যবহার (11)
- জঙ্গিবাদ (10)
- সংলাপ (9)
- সাম্প্রদায়িকতা (9)
- হিজবুত তাওহীদ (8)
- ধর্মান্ধতা (7)
- আন্তর্জাতিক (6)
- রাজনীতি (6)
- মানবতা (4)
- গল্প (1)
Sunday, July 10, 2016
ওপেন সিক্রেট: সবার জানা থাকা দরকার
বাংলাদেশে আইএস আছে। সাংগঠনিকভাবেই আছে। বাংলাদেশে আল কায়েদা আছে। সাংগঠনিকভাবেই আছে। ইহুদি রাষ্ট্র ইজরাইল বাংলাদেশকে নিয়ে নতুনভাবে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে। সরকার জানে বাংলাদেশে আইএস-আল কায়েদা উভয়েই সক্রিয়, কিন্তু বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে সত্যকে স্বীকার করছে না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জঙ্গি হামলা প্রতিরোধে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে এবং ব্যর্থ হওয়াই স্বাভাবিক। এ ধরনের গুপ্তহত্যা প্রতিরোধের সামর্থ্য আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো কালেই ছিল না। ধর্মভিত্তিক রাজনীতিক দল এবং কথিত ইসলামের হেফাজতকারীরা চলমান নাস্তিক, সমকামী, ইসলামবিদ্বেষী, হিন্দু ও খ্রিস্টান হত্যাকে নৈতিকভাবে সমর্থন করছে। গুপ্তহত্যাকারী জঙ্গিরা এসব হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে তার দুইটি কারণ। এক- তাদের মূল অংশটি মধ্যপ্রাচ্যে কথিত কুফ্ফারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে কুফ্ফার হত্যা করছে। সুতরাং তারাও নিজ দেশে কুফ্ফার হত্যা করে নিজেদের অ্যাক্টিভিটি জানান দিচ্ছে। (জেএমবি, আইএস) দুই- এসব গুপ্তহত্যার মাধ্যমে ধর্মভীরু (পড়ুন ধর্মান্ধ) পাবলিকের মধ্যে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করে নিচ্ছে তারা। এতে তারা সফল হয়েছে। দিন দিন গুপ্তহত্যাকারীদের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। তারা কার্যত জনবিচ্ছিন্ন সরকারের বিরোধী দলে পরিণত হয়েছে। (আনসার আল ইসলাম, আল কায়েদা) বিএনপি-জামাত জোট চলমান গুপ্তহত্যাকে চরমভাবে সমর্থন করছে। অনবরত মার খেয়ে আসা এই জোটটি এবার কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছে। সরকার বলতে চাইছে এসব গুপ্তহত্যা বিএনপি-জামাতের কাজ, কিন্তু তা বিশ্বাস করছে খুব কম জনই। হিন্দু পুরোহিত ও আশ্রমের সেবক হত্যার ঘটনায় ভারতে ব্যাপক নাড়া পড়েছে। ভারত বিষয়টিকে ভারতের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও ধর্মীয় মর্যাদার প্রতি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছে। এর আগে নারায়ণগঞ্জে হিন্দু শিক্ষককে অপমান করার ঘটনাকেও ভারত সিরিয়াসলি নিয়েছে। পুলিশ সাঁড়াশী অভিযানের নামে বিভিন্ন মামলার জামিনপ্রাপ্ত আসামী ও পলাতক আসামীদের ধরে ঈদের আগে একটা জমজমাট গ্রেফতার বাণিজ্যের বন্দোবস্ত করেছে। হাতের কাছে পাওয়া গেলে জঙ্গিদেরকেও গ্রেফতার করা হচ্ছে। বন্দুকযুদ্ধের মাধ্যমে চলেছে শ্রেণিশত্রু খতম। চিন্তার বিষয় হলো- দেশের একটি বিরাট সংখ্যক মানুষ জঙ্গিবাদের উত্থানকে ইসলামের উত্থান মনে করছে আর জঙ্গিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ‘অল আউট ওয়ার’কে ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জ্ঞান করছে। এতে সরকারের যা লাভ হচ্ছে তার চেয়ে বেশি লাভ হচ্ছে জঙ্গিদের। জঙ্গিদেরকে ইসলামের প্রতিনিধি মনে করা লোক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে আছে, প্রশাসনে আছে, মিডিয়ায় আছে, অর্থবিভাগে আছে, বড় বড় বিদ্যাপীঠগুলোতেও আছে। আরও আছে সাধারণ ধর্মভীরু মানুষ, ইসলামের হুজুগ তুলে যাদের দিয়ে সব কাজ করানো যায়। - See more at: http://www.istishon.com/?q=node/21238#sthash.UZsU8kqH.dpuf
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
-
রসুলাল্লাহর সময় নারীরা কেমন ছিলেন? রসুলাল্লাহর সময় নারীরা মহানবীর সামনা সামনি বসে আলোচনা শুনতেন, শিক্ষাগ্রহণ করতেন, মহানবীকে প্রশ্ন করে ...
-
মহান আল্লাহ সুরা ইয়াসীনের ২১ নং আয়াতে বোলেছেন, “তোমরা তাদের এত্তেবা (আনুগত্য, পেছনে দাঁড়ানো, অনুসরণ) কোরো, যারা তোমাদের কাছে বিনিময় চায...
-
একদিন রসুল (সা.) ক্বাবা ঘরের দেওয়ালে হেলান দিয়ে বসে আছেন। মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাফেরদের নির্যাতন-অত্যাচার, যুলুম তখন তুঙ্গে। এমতাবস্থায় এ...
No comments:
Post a Comment