কোনো মেয়ে যদি এই প্রশ্ন তোলে যে, ছেলেরা জান্নাতে ৭০ জন হুর পাবে (হাদিস অনুসারে), কিন্তু আমরা কী পাব? তার জবাব হচ্ছে- আপনি জান্নাতে যা চাইবেন তাই পাবেন। আল্লাহ আপনার কোনো চাওয়াই অপূর্ণ রাখবেন না।
.
এ ব্যাপারে সন্দেহের অবকাশ নেই যে, জান্নাতে কারও অতৃপ্তি থাকবে না। সুতরাং জান্নাতী ব্যক্তি যা চাইবেন তাই পাবেন। সে হিসেবে আপনি ৭০ জন ছেলে (হুর) চাইলে তাই পাওয়ার কথা, কিন্তু আপনি তা চাইবেন কিনা- সেটাই আসল প্রশ্ন।
.
বিশ বছরের যুবক কিন্তু দশ বছরের কিশোরের দামী জুতা, দামী শার্ট দেখে ঈর্ষা করে না, মনে মনে ওই দামী জুতা ও শার্ট পাবার কামনা করে না, কারণ সে জানে ঐ শার্ট ঐ জুতা তার জন্য প্রযোজ্য নয়। সে কামনা করবে এমন শার্ট যা তার সাইজের বা তার জন্য মাননসই হয়। জান্নাতে একজন মানুষ তাই কামনা করবে যা তার প্রাপ্য বা তার জন্য প্রযোজ্য; যা প্রযোজ্য নয় তা সে চাইবে না, পাবেও না। এভাবে প্রত্যেকের চাওয়া-পাওয়ার সমীকরণ মিলে যাবে, সবাই সন্তুষ্ট থাকবে।
.
পার্থিব চাহিদা, পার্থিব রুচি-অভিরুচি, পার্থিব ভালো লাগা-মন্দ লাগার ভিত্তিতে জান্নাতকে কল্পনা করা ভুল হবে। এমনও হতে পারে পৃথিবীতে যে জৈবিক কামনা-বাসনার ব্যাপার থাকে জান্নাতে সেটা থাকবেই না। আমি নিশ্চিতভাবে বলছি না যে সেটাই হবে, আমি কেবল সম্ভাবনার কথা বলছি। কারণ পৃথিবীতে নারী-পুরুষের জৈবিক কামনা-বাসনার প্রয়োজন হয় বংশবিস্তারের জন্য, মানবপ্রজাতির টিকে থাকার জন্য। কিন্তু জান্নাতে বংশবিস্তারের এই ধারাবাহিকতা রক্ষার দরকার নেই, সেখানে সবাই অমর।
.
সর্বপোরি একটি কথা মনে রাখতে হবে যে, কারও প্রতি অবিচার করা আল্লাহর পক্ষে অসম্ভব। কারণ অবিচার করলে তিনি আর ‘সুবহান’ বা ত্রুটিহীন থাকেন না। সুতরাং আল্লাহ কাউকে তার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করবেন না- এটুকু সাধারণ জ্ঞানেই বোঝা যায়।
No comments:
Post a Comment