Friday, April 7, 2017

.......দ্বীন প্রতিষ্ঠা ও ধর্মান্তরকরণ.......

আল্লাহ কেন বিশ্বনবীকে পাঠিয়েছেন তা জানাতে গিয়ে কোর’আনের সুরা ফাতাহর ২৮ নম্বর আয়াতে বললেন- ‘‘তিনিই তাঁর রসূলকে সঠিক পথনির্দেশ ও সত্যদ্বীন দিয়ে প্রেরণ করেছেন, যাতে একে অন্য সমস্ত দ্বীনের উপর জয়যুক্ত করেন।’’
সুতরাং আল্লাহ চাচ্ছেন অন্য সমস্ত দ্বীনের উপর ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করতে, বিজয়ী করতে। অথচ সেই তিনিই আবার কোর’আনের সুরা বাকারার ২৫৬ নম্বর আয়াতে বলছেন- ‘‘দ্বীনের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই।’’ হাদীসেও তাই। বিদায় হজ্বের ভাষণে আল্লাহর রসুল যখন তাঁর উম্মাহকে দ্বীনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোকে শেষবারের মত স্মরণ করিয়ে দিচ্ছিলেন তখন তিনি বললেন- সাবধান! দ্বীন নিয়ে বাড়াবাড়ি করবে না। অর্থাৎ কোর’আনের ‘দ্বীনে জবরদস্তি নেই’- এ কথারই প্রতিধ্বনি।
এখানে কথা হচ্ছে, দ্বীনের ব্যাপারে জবরদস্তি করা যাবে না ও দ্বীন নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবে না- এর অর্থ কী? এর অর্থ হলো দ্বীন কারও উপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে না বা দ্বীন গ্রহণ করতে কাউকে জোর করা যাবে না, তাই নয় কি? অর্থাৎ শক্তি প্রয়োগ করে ধর্মান্তরিত করার ব্যাপারে আল্লাহ নিষেধ করে দিলেন। অথচ আল্লাহ তাঁর রসুলকে পাঠিয়েছেনই অন্যান্য সমস্ত দ্বীনকে পরাজিত করে শেষ ইসলামকে বিজয়ী ও প্রতিষ্ঠিত করার জন্য।
এমতাবস্থায় এই দুই আয়াতের সামঞ্জস্য রক্ষা হবে কীভাবে তা আমাদেরকে জানতে হবে। আমাদেরকে জানতে হবে দ্বীন ইসলামকে অন্যান্য সমস্ত দ্বীনের উপর জয়যুক্ত করা এবং জোর করে ধর্মান্তরিত করার মধ্যেকার সুক্ষ্ম অথচ বিরাট তাৎপর্যপূর্ণ পাথর্ক্যটা কী? এই পার্থক্য যারা জানেন না তারাই ক্ষেত্রবিশেষে কেউ বিধর্মীদেরকে ইসলাম গ্রহণ করাতে শক্তি প্রয়োগের আশ্রয় নেন, আর কেউ ইসলামকে তলোয়ারের জোরে বিস্তার লাভ করার অপবাদ দেন।

No comments:

Post a Comment