Friday, April 7, 2017

...........হেযবুত তওহীদ...........

সারা পৃথিবীতে হেযবুত তওহীদ একমাত্র আন্দোলন যেটার প্রতিষ্ঠা থেকে আজ পর্যন্ত বিগত ২১ বছর যাবৎ এর কোনো একজন সদস্য, কোনোখানে, কোনোভাবে, কোনো অবস্থাতেই সামান্য আইনভঙ্গ না করা সত্ত্বেও অন্তত পাঁচ শতাধিকবার এই আন্দোলনের সদস্যদেরকে পুলিশ গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতে চালান করেছে।

যেহেতু ‘আইন ভঙ্গ না করা’ এই আন্দোলনের মূলনীতির অংশ, সুতরাং অধিকাংশ মামলা থেকেই এই আন্দোলনের সদস্যরা বেকসুর অব্যাহতি পেয়েছেন, নিশ্চিতভাবেই বলা যায় বাকি মামলাগুলোতেও হেযবুত তওহীদের সদস্যদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হবে। পাঁচ শতাধিক মামলার মধ্যে একটিতেও সাজা ভোগ না করা তথা একটি অভিযোগও সত্য প্রমাণিত না হবার দৃষ্টান্ত পৃথিবীতে বোধহয় দ্বিতীয়টি নেই।

পৃথিবীতে একমাত্র হেযবুত তওহীদকেই পাবেন যাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করার জন্য প্রতিবেদককে বিন্দুমাত্র চিন্তা-ভাবনা করার দরকার পড়ে না, কোনো সূত্র উল্লেখ করারও প্রয়োজন পড়ে না। ডেস্কে বসে বসে যা মনে আসে লিখে ফেলা যায়। প্রয়োজনে গত বছরের রিপোর্টটাই আবার কপি-পেস্ট করে চালিয়ে দেওয়া যায়- কেউ কিচ্ছু বলবে না।

পৃথিবীতে একমাত্র হেযবুত তওহীদকেই পাবেন যে আন্দোলন ইসলামের পক্ষে কথা বললেও, অনেক মোল্লা-মাওলানা, মুফতি-মোহাদ্দীস আন্দোলনটির নাম শুনলেই রেগে লাল হয়ে যায়। অনবরত তাদের মুখ থেকে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের প্রতি কাফের, নাস্তিক, মুরতাদ, ইহুদির দালাল- ইত্যাদি অগ্নিবাণ বর্ষিত হয়। কারণটা আর কিছু নয়, হেযবুত তওহীদ কোর’আন-হাদীস থেকে দেখিয়ে দিয়েছে ধর্মকে ব্যবহার করে অর্থোপার্জন, রাজনৈতিক স্বার্থোদ্ধার ও উগ্রবাদী কর্মকাণ্ড হারাম।

পৃথিবীতে একমাত্র হেযবুত তওহীদকেই পাবেন যে আন্দোলনটি প্রচলিত ধর্মের নামে অন্ধত্ব, কূপমণ্ডূকতা, সাম্প্রদায়িকতা, উগ্রবাদ- ইত্যাদির বিরুদ্ধে আদর্শিক লড়াই চালাতে গিয়ে অকাতরে জীবন দিয়ে দিলেও কথিত মুক্তমনারা আন্দোলনের নাম শুনে ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করেন- কী নাম? হেযবুত তওহীদ? ধর্মের ব্যানারে? বুচ্ছি বুচ্ছি। সুযোগ পাইলে আপনারাও . . . (আনফ্রেন্ড, ব্লক)।

পৃথিবীতে একমাত্র হেযবুত তওহীদকেই পাবেন যে আন্দোলনটির প্রতি একশ’ জন সদস্যের মধ্যে একজন পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ আছে যে কখনও শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনের প্রচারকার্য চালানোর সময় প্রশাসনিক হয়রানির শিকার হয় নি। তাদেরকে শত শতবার কেবল ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে কেবলই সন্দেহবশত, তদন্ত করে দেখার জন্য, জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার জন্য যে, এরা কারা, এরা কী চায়, এদের সাথে জঙ্গিদের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কিনা, বৈদেশিক কোনো মহলের যোগসাজস আছে কিনা, অর্থ আসে কোথা থেকে, আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয় কারা ইত্যাদি।

কোনো একটি আন্দোলন সম্পর্কে প্রশাসনিক তদন্ত করার স্বার্থে সেই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা থেকে শুরু করে সাধারণ সদস্য, এমনকি অনেক সদস্যের আত্মীয়-স্বজন পর্যন্ত প্রায় সকলকে পর্যায়ক্রমে গ্রেফতার করার দৃষ্টান্ত পৃথিবীর বুকে সম্ভবত এটাই প্রথম।

এত প্রশাসনিক নির্যাতন, মিডিয়ার তথ্যসন্ত্রাস ও ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠীর অপপ্রচার- এত কিছুর পরও আমরা আমাদের আদর্শে ও নীতিমালায় দৃঢ়পদ ছিলাম বলেই আজ হয়ত আধারের পর্দা ভেদ করে একটু একটু করে আলোর রেখা ফুটতে শুরু করেছে। ক্রমেই হেযবুত তওহীদের ব্যাপারে বিভ্রান্তির নিরসন ঘটছে। মিডিয়া, প্রশাসন, আলেম-ওলামা সব শ্রেণির মধ্যেই অনেক ব্যক্তি এখন হেযবুত তওহীদ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে পূর্বের বিকৃত ধারণা থেকে সরে আসছেন। তবু যে আন্দোলনটির উপর দিয়ে এত ঝড় গেছে, যে আন্দোলনের বিরুদ্ধে কয়েক যুগ ধরে শতমুখে অপপ্রচার-অপবাদ রটেছে, সেই আন্দোলনের ব্যাপারে অনেকের মনেই অনেক প্রশ্ন জমে থাকা অস্বাভাবিক নয়। আমার অনুরোধ থাকবে হেযবুত তওহীদের ব্যাপারে কারও কোনো অভিযোগ-আপত্তি থাকলে আমাদেরকে বলুন। ফ্রি মাইন্ডে বলুন। উত্তর পেয়ে নিরাশ হবেন না এই নিশ্চয়তাটুকু অগ্রিম দিয়ে রাখছি।

No comments:

Post a Comment